ETV Bharat / state

সিভিকের বদলে কম সংখ্যক খাকি উর্দির পুলিশ মালদা মেডিক্যালে, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

30 জন সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে মালদা মেডিক্যালে দায়িত্বে এলেন আটজন পুলিশ কর্মী ৷ এত বড় হাসপাতালে এই সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

Malda Medical College and Hospital
মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (নিজস্ব ছবি)

মালদা, 19 অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একগুচ্ছ নির্দেশিকার প্রভাব পড়েছে মালদা মেডিক্যালে ৷ মেডিক্যাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক কর্মীদের ৷ তার বদলে খাকি উর্দিধারী পুলিশকর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে ৷ কিন্তু এতে মেডিক্যালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে ৷

আবার অনেকের অনুমান, সিভিকের পরিবর্তে খাকি উর্দিধারীদের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা বাড়বে মেডিক্যালে ৷ যদিও এ নিয়ে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ প্রতিক্রিয়া দেননি কোনও পুলিশকর্তাও ৷

Malda Medical College and Hospital
সুপ্রিম নির্দেশে হাসপাতাল থেকে সরেছে সিভিক ভলান্টিয়ার (নিজস্ব ছবি)

গত আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ নির্দেশিকা জারি হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়েও ৷ তারপরেই মালদা মেডিক্যাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের ৷ তার পরিবর্তে তিন শিফটের প্রতিটিতে একজন করে রাজ্য পুলিশের এএসআই এবং সাতজন কনস্টেবল মেডিক্যালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়োগ করা হয়েছে ৷ তাঁরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন ৷ নিরাপত্তায় নজর রাখার পাশাপাশি তাঁরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সাহায্যও করছেন ৷

কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায় ৷ পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এতদিন মালদা মেডিক্যালে প্রতিদিন প্রায় 30 জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হত ৷ সেখানে এখন নিরাপত্তার দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন মাত্র আটজন পুলিশকর্মী ৷ এত কম পুলিশকর্মী এত বড় ক্যাম্পাসে কি সঠিক নিরাপত্তা দিতে পারবেন?

Malda Medical College and Hospital
মালদা মেডিক্যালে দায়িত্বে পুলিশ কর্মী (নিজস্ব ছবি)

শনিবার হাসপাতালে উপস্থিত এক রোগীর আত্মীয় শুভ সাহা বলেন, "আদালতের নির্দেশে এখানে আরও বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে ৷ সঙ্গে থাকছে খাকি উর্দিধারী পুলিশ ৷ এতে মেডিক্যালের নিরাপত্তা বাড়বে বলেই আমার মনে হয় ৷ কারণ, এর আগে বেশি সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকলেও মাঝেমধ্যে চুরি-ছিনতাই কিংবা হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের অশান্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷"

যদিও শুভর বক্তব্য সমর্থন করেননি আরেক রোগীর আত্মীয় ধ্রুব সামন্ত ৷ তাঁর মতে, "খাকি বা নীল ৷ উর্দিধারী দেখলে সবার মনেই খানিকটা ভয় তৈরি হয় ৷ সিভিক ভলান্টিয়াররাই এখন কার্যত পুলিশের কাজ করছেন ৷ কারণ, রাজ্যের কোনও থানাতেই পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী নেই ৷ আগে এখানে যে সংখ্যক সিভিককর্মী মোতায়েন থাকতেন, তাতে গোটা মেডিক্যাল ক্যাম্পাসে তাঁরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিরাপত্তা দেখতেন ৷ হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশকর্মীর পক্ষে সেটা কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ হাসপাতালের নিরাপত্তায় এর প্রভাব পড়বেই ৷"

এই ঘটনায় মালদা মেডিক্যালের নিরাপত্তা বাড়ে না কমে, তা পরে বোঝা যাবে ৷ কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে আরও বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে ৷ আগে গোটা মেডিক্যাল চত্বরে 171টি সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল ৷ বাড়তি লাগানো হচ্ছে আরও 228টি ৷ ট্রমা কেয়ার ইউনিটে 399টি সিসি ক্যামেরার মনিটারিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে 70 শতাংশ নতুন ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ ৷ আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকেই নতুন ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷

এ নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার পুরঞ্জয় সাহাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "আমি মালদায় নেই ৷ বাইরে রয়েছি ৷ ফলে এ নিয়ে এখন কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ৷ মালদা ফিরে সব খতিয়ে দেখে কিছু বলতে পারব ৷"

মালদা, 19 অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একগুচ্ছ নির্দেশিকার প্রভাব পড়েছে মালদা মেডিক্যালে ৷ মেডিক্যাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক কর্মীদের ৷ তার বদলে খাকি উর্দিধারী পুলিশকর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে ৷ কিন্তু এতে মেডিক্যালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে ৷

আবার অনেকের অনুমান, সিভিকের পরিবর্তে খাকি উর্দিধারীদের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা বাড়বে মেডিক্যালে ৷ যদিও এ নিয়ে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ প্রতিক্রিয়া দেননি কোনও পুলিশকর্তাও ৷

Malda Medical College and Hospital
সুপ্রিম নির্দেশে হাসপাতাল থেকে সরেছে সিভিক ভলান্টিয়ার (নিজস্ব ছবি)

গত আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ নির্দেশিকা জারি হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়েও ৷ তারপরেই মালদা মেডিক্যাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের ৷ তার পরিবর্তে তিন শিফটের প্রতিটিতে একজন করে রাজ্য পুলিশের এএসআই এবং সাতজন কনস্টেবল মেডিক্যালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়োগ করা হয়েছে ৷ তাঁরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন ৷ নিরাপত্তায় নজর রাখার পাশাপাশি তাঁরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সাহায্যও করছেন ৷

কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায় ৷ পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এতদিন মালদা মেডিক্যালে প্রতিদিন প্রায় 30 জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হত ৷ সেখানে এখন নিরাপত্তার দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন মাত্র আটজন পুলিশকর্মী ৷ এত কম পুলিশকর্মী এত বড় ক্যাম্পাসে কি সঠিক নিরাপত্তা দিতে পারবেন?

Malda Medical College and Hospital
মালদা মেডিক্যালে দায়িত্বে পুলিশ কর্মী (নিজস্ব ছবি)

শনিবার হাসপাতালে উপস্থিত এক রোগীর আত্মীয় শুভ সাহা বলেন, "আদালতের নির্দেশে এখানে আরও বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে ৷ সঙ্গে থাকছে খাকি উর্দিধারী পুলিশ ৷ এতে মেডিক্যালের নিরাপত্তা বাড়বে বলেই আমার মনে হয় ৷ কারণ, এর আগে বেশি সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকলেও মাঝেমধ্যে চুরি-ছিনতাই কিংবা হাসপাতালে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের অশান্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷"

যদিও শুভর বক্তব্য সমর্থন করেননি আরেক রোগীর আত্মীয় ধ্রুব সামন্ত ৷ তাঁর মতে, "খাকি বা নীল ৷ উর্দিধারী দেখলে সবার মনেই খানিকটা ভয় তৈরি হয় ৷ সিভিক ভলান্টিয়াররাই এখন কার্যত পুলিশের কাজ করছেন ৷ কারণ, রাজ্যের কোনও থানাতেই পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী নেই ৷ আগে এখানে যে সংখ্যক সিভিককর্মী মোতায়েন থাকতেন, তাতে গোটা মেডিক্যাল ক্যাম্পাসে তাঁরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিরাপত্তা দেখতেন ৷ হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশকর্মীর পক্ষে সেটা কিছুতেই সম্ভব নয় ৷ হাসপাতালের নিরাপত্তায় এর প্রভাব পড়বেই ৷"

এই ঘটনায় মালদা মেডিক্যালের নিরাপত্তা বাড়ে না কমে, তা পরে বোঝা যাবে ৷ কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে আরও বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে ৷ আগে গোটা মেডিক্যাল চত্বরে 171টি সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল ৷ বাড়তি লাগানো হচ্ছে আরও 228টি ৷ ট্রমা কেয়ার ইউনিটে 399টি সিসি ক্যামেরার মনিটারিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে 70 শতাংশ নতুন ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ ৷ আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকেই নতুন ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷

এ নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার পুরঞ্জয় সাহাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "আমি মালদায় নেই ৷ বাইরে রয়েছি ৷ ফলে এ নিয়ে এখন কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ৷ মালদা ফিরে সব খতিয়ে দেখে কিছু বলতে পারব ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.