কাকদ্বীপ, 8 ডিসেম্বর: ফাঁকা ক্লাসঘরে নিয়ে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের গ্রন্থাগারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপ থানা এলাকায় ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্ট মাসে স্কুলের গ্রন্থাগারে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে লাইব্রেরিয়ানের । এরপর থেকে ওই ছাত্রী আর স্কুলে যেতে চাইত না । মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সে । শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ।
বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে । তবে কী কারণে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল পরিবারের কেউ বুঝতে পারছিলেন না । সম্প্রতি স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয় ৷ ওই ছাত্রীকে পরিবারের লোকজন স্কুলে যাওয়ার কথা বলেন । কিন্তু নাবালিকা স্কুলে যেতে রাজি হয়নি । এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পরিবারকে সব কথা খুলে বলে । ঘটনা জানার পর ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । তার ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার অভিযুক্তকে বারুইপুর থেকে গ্রেফতার করে । ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ।
এ বিষয়ে কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী শঙ্করনারায়ণ মান্না বলেন, "ওই ছাত্রী মেধাবী । বার্ষিক পরীক্ষা দিতে রাজি না হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করেন । তখনই ওই ছাত্রী সব কথা পরিবারকে জানায় । অভিযোগ, ওই গ্রন্থাগারিক ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, এই ঘটনা কাউকে বলে দিলে তাকে খুন করা হবে । এমনকি ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত এমন হুমকিও দেন যে, তাঁর কাছে ঘটনার ভিডিয়ো রয়েছে । কাউকে একথা জানালে ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া হবে । সেই ভয়ে ওই ছাত্রী এতদিন পর্যন্ত ঘটনা কাউকে জানায়নি ।"
কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গত অগস্ট মাসের 9 তারিখে ঘটনাটি ঘটে ৷ পরীক্ষা চলাকালীন বাথরুমে যাচ্ছিল ওই নাবালিকা ৷ তার একা থাকার সুযোগ নিয়ে ওই স্কুলের লাইব্রেরিয়ান একটি ফাঁকা ঘরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায় এবং তাকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে । মেয়েটির মা গত দুদিন আগে সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে কাকদ্বীপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করি এবং তাকে আদালতে পেশ করি । অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।"