কলকাতা, 22 মার্চ: নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে প্রার্থীদের প্রচার-পারদ ৷ দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী মালা রায়ের বিপক্ষে সিপিএমের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন সায়রা শাহ হালিম ৷ বিনাযুদ্ধে এতটুকু জমি ছাড়তে নারাজ বলিউড অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের ভাইঝি ৷ কাকার আশীর্বাদ নিয়ে নেমে পড়েছেন প্রচারের রাজপথে ৷ প্রার্থীর সারাদিনের সঙ্গী থাকল ইটিভি ভারত ৷
এদিন সায়রা বলেন, "2022 সালের বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে পরাজিত হলেও প্রায় 25 শতাংশ ভোটব্যাংক বেড়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চেষ্টা জারি থাকবে। সন্দেশখালির হিংসা দুর্নীতি থেকে ইলেকট্রোল বন্ড, সমস্ত কিছুই মানুষের কাছে তুলে ধরছি।" কলকাতা পুরসভার 68 নম্বর ওয়ার্ডে বালিগঞ্জের বস্তি এবং আবাসন এলাকায় প্রচার সারেন তিনি। এদিন সায়রা শাহ হালিম বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আমার লোকসভা এলাকার ভোটার। ভোট প্রার্থী হিসেবে অবশ্যই তাঁদের বাড়িতে যেতে পারি।"
প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে বলিউড অভিনেতা তথা কাকা নাসিরউদ্দিন শাহ কী জানালেন ? উত্তরে সায়রা বলেন, " উনি জানেন আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি । ওঁনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সব সময় পাশে থাকার কথা বলেছেন। শরীর ঠিক থাকলে উনি অবশ্যই প্রচারে আসবেন। না আসতে পারলে ভিডিয়োবার্তা দিতে পারেন।"
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার মধ্যে বালিগঞ্জ, কসবা, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, কলকাতা বন্দর, রাসবিহারী এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা ভবানীপুরের অন্তর্গত। এই সমস্ত এলাকায় ধাপে ধাপে প্রচারে যাবেন বলে জানান সায়রা হালিম। গড়িয়াহাট-গোলপার্কের মোড় থেকে এদিন প্রচার শুরু করেন তিনি। কখনও পায়ে হেঁটে অলিগলিতে ঢুকে পড়েন। এলাকার মা-বোনেদের সঙ্গে কথা বলেন। আবার কখনও হুডখোলা গাড়িতে চেপে হাত নাড়িয়ে, সাধারণের হাতে লিফলেট বিলি করে জনসংযোগ সারেন।
উল্লেখ্য, প্রার্থী ঘোষণার দিন থেকেই প্রচার শুরু করেছেন সায়রা হালিম। কর্পোরেটের চাকরি ছেড়ে আসা চিকিৎসক পত্নী বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে নারাজ। সকাল-বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এলাকাভিত্তিক দু'আড়াই ঘণ্টা করে প্রচারে সময় দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন
1. 100 শতাংশ কাজের দাবি, 'ডিগবাজি' অর্জুনের পাঁচ বছর
2. 'আমার বোলিংয়ের ভয়ে এখনও প্রার্থী দেয়নি বিরোধীরা', সাইকেলে খোশমেজাজে প্রচার কীর্তি আজাদের