সোদপুর, 8 সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে ফের চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দিল আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার ৷ রবিবার চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দিতে সোদপুরের বাড়ি থেকে বিকেলে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা ৷ নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা-মা ছাড়াও চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে যোগ দেন কাকা-কাকিমা । এদিন উদ্যোক্তাদের কয়েকজন সোদপুরের বাড়িতে আসেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদের নিয়ে যেতে । সেই মতো দুটি গাড়িতে করে পরিবারের লোকজন-সহ বাকিরা রওনা দেন ধর্মতলার দিকে ।
বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বলেন, "ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দিতে যাচ্ছি । ওঁরা এসেছেন নিয়ে যেতে । যেখানে নিয়ে যাবে, সেখানেই আমরা যাব । আশায় আছি, বিচার পাব । সেই আশাতেই দিন গুনছি ।"
মেয়ের নৃশংস হত্যার একমাস হল ৷ তবুও লড়তে হচ্ছে সুবিচারের জন্য ৷ এই বিষয়ে নির্যাতিতার মা বলেন,"যন্ত্রণা তো আছেই ! পাশে অনেক মানুষ আছেন। সারা দেশ-বিদেশের লোকজন রয়েছেন । আন্দোলন করছেন । এটাই আমাদের ভরসা । আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে ৷ ভালো খবর পাব সেই আশায় রয়েছি ।"
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরের মিছিলের পরের সভায় যোগ দিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "সিবিআই এবং সুপ্রিম কোর্টের উপর ভরসা করে আছি । এখন আমাদের শুধুমাত্র আশায় দিন কাটছে । সিবিআই ভালো রিপোর্ট দেবে বলে আশা করছি । আমাদের যা শেষ হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে ।" নির্যাতিতার মায়ের কথায়, "অনেক কষ্টে আমার মেয়ের প্রাণ চলে গিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে । আপনাদের লড়াই আমায় সাহস দেয়। আর কোনও মাকে যেন আমার মতো হাহাকার করতে না হয়। আর কোনও 'তিলোত্তমাকে' যেন তিলোত্তমায় বলি না হতে হয় । প্রধান বিচারপতির কাছে এমনটাই চাইছি ।"
এদিকে তরুণীর কাকিমা বলেন, "আমি জীবনে আর কাকিমা ডাকটা আর শুনতে পাব না। ভাবিনি এই নিষ্ঠুর দিন অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য । তাই 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', নয় 'উই ডিমান্ড জাস্টিস'। আমাদের বিচার দিতেই হবে । যতক্ষণ না বিচার আসছে আপনারা রাস্তা ছাড়বেন না । আমরা মানসিকভাবে আপনাদের পাশে আছি ।"