কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে সামিল হয়ে জয়নগরের ঘটনায় ফাঁসির সাজা নিয়ে মন্তব্য করলেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা । শুক্রবার মিছিলে পা-মিলিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "পুলিশ প্রথম অংশে প্রচণ্ড গাফিলতি করেছে । সিবিআই সময় চেয়েছে, আমরা সময় দিয়েছি । আসামীদের সামনে নিয়ে আসবে । জয়নগরের ঘটনায় আমাদের ভরসা বাড়ছে । আমাদেরও সাহস আজ থেকে বাড়ল ৷ আমাদের আসামীরাও কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি পাবে । তবে রাজ্যে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে গেলে সবার আগে সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে । যেটা সরকার করছে না ৷"
তিনি আরও বলেন,"জয়নগরের বিচার শোনার পর ভরসা বাড়ল । টালা থানার ওসি দু'দিনে সাসপেন্ড হলেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা হল না । সরকার যদি ব্যবস্থা না-নেয় তাহলে ধর্ষণবিরোধী বিল এনে কোনও লাভ নেই । সরকার নিশ্চয়ই কিছু লুকোতে চাইছে । মানুষের সমর্থন আছে আমাদের সঙ্গে ৷
জয়নগর ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দেওয়ার সেই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, "এই পদক্ষেপ একটা সদর্থক । এভাবেই বিচার পদ্ধতি এগিয়ে চলা উচিত । আমি চাই, এভাবেই বিচার পদ্ধতি এগিয়ে যাক ৷ এমনই শাস্তি দেওয়া হোক যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ তারা আর করতে না পারে ।"
এদিন মিছিল করে স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছে জুনিয়র চিকিৎসকরা তিনজন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন । সেখান থেকে বেরিয়ে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "আমরা জানতে চেয়েছি কেন সন্দীপ ঘোষ এবং আশিস পাণ্ডের নাম চার্জশিটে আসার যে ক্লিয়ারেন্স তা রাজ্য সরকার দিচ্ছে না ? সেই বিষয় আমাদেরকে বলা হয়েছে, ধৈর্য ধরো প্রক্রিয়া চলছে । আর অভীক-বিরূপাক্ষ সম্পর্কে বলেছেন, তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে ৷ সেখানে বেশ কিছু বিষয় ধরা পড়েছে । সেগুলোও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন । তবে অভিযোগ, অভিযুক্ত, দোষী সবকিছুকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে । মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলন ছাড়া রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটে না ।"
প্রসঙ্গত, অভীক দে কে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলে আনার জন্য শুক্রবার পথে নামে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট । মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের 20 জনের প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন জমা দিয়ে আসেন । "অভিযোগ অভিযুক্ত দোষী সবকিছুকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই গুলিয়ে দিয়ে থ্রেট কালচারের মাথাতে আবার মেডিক্যাল কলেজ গুলোর মাথায় বসানোর পরিকল্পনা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলি হেলনে ছাড়া কোন ঘটনা রাজ্যে ঘটে না। যেখানে স্বাস্থ্যভবনে দোষী, তাদের কী করে সুদীপ্ত রায় সুশান্ত রায় নির্দোষ বলছেন ? "