কলকাতা, 4 নভেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের কথাতেই একরকম সায় দিলেন চিকিৎসকদের একাংশ । আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তনীদের মতে, একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচানোর জন্য তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হবে না । আরও অনেকে এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে । আন্দোলনকারী চিকিৎসক সমাজ প্রথম থেকেই এ কথা বলে এসেছে ।
রাত পোহালে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি । তার আগে ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে সোমবার শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হয় সঞ্জয় রায়কে ৷ এ দিন আদালত থেকে বেরোনোর সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি । তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার তাঁকে ফাঁসাচ্ছে । সেই দাবিতে সহমত পোষণ করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তনীরা ৷
চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের প্রথম থেকে সন্দেহ ছিল সঞ্জয় রায়কে ফাঁসানো হচ্ছে । এটা কখনওই সম্ভব নয় যে সুরক্ষিত হাসপাতালে ওয়ার্ডের ভেতরে গিয়ে মহিলার শরীরে এতবার আঘাত করে ধর্ষণ এবং খুন করল একজন ব্যক্তি । এটা সম্পূর্ণ চক্রান্ত ।"
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তনী তথা বর্তমানে ট্রমা কেয়ারের মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক তাপস প্রামাণিক বলেন, "একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি যদি না থাকে তাহলে প্রশাসন কেন প্রমাণ লোপাট করতে যাবে ? ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যা দেখা গিয়েছে সেটাও একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয় ।"
অন্যদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর একজন প্রাক্তনী তথা বর্তমানে অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান সৈকত নিয়োগী বলেন, "আরজি করের ঘটনায় সঞ্জয় রায় জড়িত কি না সেটা সম্পূর্ণ বিচারাধীন বিষয় । তবে উনি একা ছিলেন না, এটা আমরা নিশ্চিত । সিবিআই ওর কথাটা যাচাই করে দেখুক ।"
সোমবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে 'দ্রোহের আলো' জ্বালান প্রাক্তনীরা । প্রতিবাদের মঞ্চ থেকে নির্য়াতিতার প্রতীকী ছবির সামনে মোমবাতি জ্বালান তাঁরা । সকলের গায়ে লাগানো ছিল বিচারের দাবি নিয়ে স্লোগান ।