কলকাতা, 29 অক্টোবর: জামাকাপড়ের বাজারের পর কি আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব এবার বাজির বাজারে ? সেই প্রশ্নটাই উঠছে টালা পার্কের বাজি বাজারের চিত্রটা দেখে ৷ হাতে মাত্র দু’টো দিন ৷ কিন্তু, কালীপুজোর আগে বেচাকেনা সে অর্থে নেই ৷ যে ক’জন আসছেন, খুব সামান্য আতশবাজি কিনছেন বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা ৷
টালা পার্কের বাজি বাজার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ৷ মাঝেমধ্যেই সেখানে বিক্ষোভ, মিছিল বেরোচ্ছে ৷ আর সেটা হলেই, ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা ৷ ব্যবসায়ীদের কথায়, ব্যবসা কেমন হবে, তা তাঁরা উপরওয়ালার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন ৷
কলকাতা শহরে বড় বাজি বাজার বসে ধর্মতলায় শহিদ মিনার ময়দান, টালা পার্ক, কালিকাপুর ও বেহালায় ৷ সব জায়গাতেই এ বছর বাজির বাজার খুব একটা ভালো নয় ৷ আর সেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে টালা পার্কের বাজির বাজার ৷
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে হওয়া বৃষ্টির কারণে, এমনিতেই দেরিতে বাজির পসরা নিয়ে বসেছেন তাঁরা ৷ এমনকি বাজির কারখানাতেও এবার উৎপাদন সেভাবে নেই ৷ রোদ না-থাকায় সেভাবে বাজি তৈরি করার সময় পাননি কারিগররা ৷ শেষ মুহূর্তে যতটা সম্ভব, ততটা বাজি তৈরি করা হচ্ছে ৷ কিন্তু, সেই বাজিও বিক্রি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা ৷
টালা পার্কের বাজি বাজারের ব্যবসায়ী কাজল কুমার পাল বলেন, "এমনিতেই বিক্রি নেই ৷ আরজি করের ঘটনার প্রভাব তো পড়েছেই ৷ লোকজন এমনিতেই আসছে না ৷ তার মধ্যে একদম কাছেই আরজি কর হাসপাতাল ৷ চিন্তায় আছি ৷ কোনও বিক্ষোভ বা মিছিল হলেই ব্যবসা শেষ ৷ আর খরিদ্দার এদিকে আসবে না ৷ তার উপর দুর্যোগ গেল ৷ এখনও মাল সেই অর্থে জোগাড় করে উঠতে পারিনি, চিন্তায় আছি ৷"
টালা পার্কের সভাপতি তথা বাজি ব্যবসায়ী মিলন দত্ত বলেন, "আরজি কর নিয়ে তো সমস্যা আছেই ৷ কোনও মিটিং-মিছিলের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে ৷ সেই আতঙ্কে লোকজন কম আসছে ৷ অবাঙালি ক্রেতা কয়েকজন আসছেন ৷ কিন্তু, কালীপুজো উপলক্ষে বাঙালি ক্রেতার দেখা নেই ৷"