কলকাতা, 18 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করার অভিযোগে এবার শহরের নামজাদা দুই চিকিৎসককে ডেকে পাঠালো লালবাজার। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী এবং কুণাল সরকারকে আজ বেলা তিনটের মধ্যে লালবাজারে তলব । বলা হয়েছে তারা যেন দুপুর তিনটের মধ্যে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে আসেন।
তবে, এই শুধুমাত্র যে দুই চিকিৎসককে ডাকা হয়েছে তেমন নয় ৷ বরং, ডাকা হয়েছে বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। তবে এই বিষয়ের লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং এই দুই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ইতিমধ্যে, এই কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল একাধিকবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি অনুরোধ করেন, 'গুজব ছড়াবেন না ৷ গুজব ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে কলকাতা পুলিশ।' ঠিক তার পরেই দেখা গেল কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে শহরের নামকরা চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামী-সহ বিজেপির সংসদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালো কলকাতা পুলিশ।
মূলত, তাদের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন যে, কেন ওই নির্যাতিতার নাম আনলেন? এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের একজন নগরপাল পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক ইটিভি ভারতকে বলেন, "দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে, এই প্রকারের কোনও ঘটনা ঘটলে সেই নির্যাতিতার নাম, ছবি এবং অন্যান্য পরিচয় যেন কেন গোপন রাখা হয়। কিন্তু, তা সত্বেও আরজি কর কাণ্ডে প্রথম দিন থেকেই এই নির্যাতিতার নাম, ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমরা এই দুই চিকিৎসক এবং সাংসদকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, তাঁরা সমাজের দায়িত্ববান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটাতে পারলেন?"
ইতিমধ্যেই আরজিকর কাণ্ডে তদন্তভার চলে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। পাশাপাশি, আরজিকল কাণ্ডে গত 14ই অগস্ট রাতে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তদের নিজেদের ফেসবুকে সাধারণ মানুষের কাছে কলকাতা পুলিশ জানতে চেয়েছে এবং নাম যদি জানা থাকে তাহলে, তাঁরা যেন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক জনকে লালবাজারে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ । এবার সেই ঘটনায় নির্যাতিতার নাম আনার অভিযোগে শহরের নামজাদা চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে ডেকে পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ।