ধূপগুড়ি, 3 অগস্ট: কোথাও ফ্রিজে মজুত বাসি পচা মাছ ৷ আবার কোথাও মেয়াদ উর্ত্তীণ ঠান্ডা কোমল পানীয় বিক্রি হচ্ছে অবাধে । শনিবার দুপুর নাগাদ পুরসভার আধিকারিক ও কর্মীরা অভিযান চালাতে গিয়ে হতভম্ব । ফেলে দেওয়া হল হোটেলের ফ্রিজে রাখা 2-4 দিন আগের ওইসব মাছ । খাবার উপযুক্ত নয়, এমন জিনিস রাখা চলবে না দোকানে ৷ পাশাপাশি দোকানদারকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে ৷
ধূপগুড়ি পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেপেক্টর অঞ্জন রায় বলেন, "এর আগেও আমরা বেকারি ফুডের বিরুদ্ধের অভিযান চালিয়েছি এবং আজকে আবার কুকিং ফুডের বিষয়ে অভিযান চালালাম । এক দোকানে বাসি মাছ এবং এক দোকান থেকে মেয়াদ উর্ত্তীণ ঠান্ডা পানীয় পাওয়া গিয়েছে । সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।"
জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ধূপগুড়ি শহরের থানা রোড এলাকার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে খাবারের হোটেলে আচমকা অভিযান চালান ধূপগুড়ি পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর অঞ্জন রায়-সহ কর্মীরা ৷ এ দিন কয়েকটি হোটেলের রান্নাঘর থেকে শুরু করে খাওয়ার জায়গা, এমনকী খাবারের গুণগতমান সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা ৷ অভিযানে গিয়ে আধিকারিকদের নজরে আসে, একটি দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে মেয়াদের তারিখ উর্ত্তীণ ঠান্ডা পানীয় । সেই ঠান্ডা পানীয় বাজেয়াপ্ত করা হয় । পাশাপাশি অবিলম্বে ওই কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটারকে নিয়ে পুরসভা দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
এরপর একটি হোটেলের রান্নাঘরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের ৷ হোটেলের ফ্রিজ খুলতেই বেরিয়ে এল কয়েকদিনের বাসি মাছ । সেই মাছ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যান আধিকারিকরা । কেন এতদিনের বাসি মাছ ফ্রিজে রাখা রয়েছে, সে বিষয়ে হোটেল মালিককে ধমক দিতেও দেখা গেল পুর আধিকারিকদের ৷ তবে একাধিকবার অভিযান চালালেও কেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী এখনও সতর্ক হচ্ছে না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।