বর্ধমান, 3 সেপ্টেম্বর: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সোমবার রাতেই গ্রেফতার হতেই রাতারাতি অভীক দে'কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দিন কয়েক ধরেই অভীক দে'র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠছিল বর্ধমান মেডিক্যালের সঙ্গে অভীক দে'র কোনও সম্পর্ক না-থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি রাতের অন্ধকারে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে বৈঠক করেন।
এমনকী ক্যান্টিন কমিটিতেও প্রিন্সিপালের পাশে সদস্য হিসেবে অভীক দে'র নাম রয়েছে। অথচ প্রিন্সিপাল দাবি করছেন, যেহেতু তিনি এসএসকেএমে রয়েছেন তাই তার এখানে আসার কথাও নয়।
অভীক দে'কে নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের দাবি: সোমবার আন্দোলনকারীরা অভীকের প্রবেশকে কলেজ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করার দাবির পাশাপাশি একাধিক দাবি নিয়ে প্রিন্সিপালকে অভিযোগ জমা দেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অভিযোগ, গত শুক্রবার যখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে জিবি মিটিং চলছিল সেই সময় বহিরাগত ও পাশ আউট কিছু চিকিৎসক আন্দোলনকারীদের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য খারাপ মন্তব্য করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি ছাড়াও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না, বা রেজিস্ট্রেশন করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়।
- আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "আমরা কোনওভাবেই আন্দোলন থেকে সরে যাব না। আমাদের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা যাবে না। উত্তরবঙ্গ লবির চিকিৎসক অভীক দে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত না-হয়েও এখানকার বেশকিছু জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিং করে যান।"
এরপর থেকেই অভীকের বিরুদ্ধে সরব হন পড়ুয়া চিকিৎসকরা। এমনকী তাঁরা শনিবার আন্দোলনের পাশাপাশি অভীক দে'র কুশপুতুলও পোড়ায় ৷ তাঁদের দাবি, অভীক দে কোন অধিকারে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশ করেন। কিংবা বর্ধমান মেডিক্যালের সঙ্গে অভীক দের কোনও সম্পর্ক থাকলে সেটা প্রকাশ করা হোক। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে অভীকের প্রবেশকে নিষিদ্ধ করা হোক বলে দাবি তোলা হয়েছে।
- যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের বেশকিছু দাবিদাওয়া ছিল। সমস্ত দাবি শোনা হয়েছে। বিষয়গুলো দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভীক দে তো এখানকার কেউ নয়। উনি আসেন না এখানে। থ্রেট কালচার কথাটা গত কয়েকদিন শুনছি। অভীক দে'কে নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে তখন আমি প্রিন্সিপাল পদে ছিলাম না। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
- বর্ধমান মেডিক্যালের সঙ্গে কী সম্পর্ক অভীক দে-র ? প্রশ্ন আন্দোলকারী চিকিৎসকদের