জলপাইগুড়ি, 6 অগস্ট: আলু রফতানিতে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ ৷ এই হয়রানি বন্ধ ও আলু রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা ৷ জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরের গেটের সামনে রাস্তায় আলু ছড়িয়ে হল এই বিক্ষোভ কর্মসূচি । তাতে উত্তেজনা ছড়াল ৷ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন আলু চাষিরা । পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হল বিরাট পুলিশ বাহিনী ।
জলপাইগুড়ির আলু চাষি সংগঠনের পক্ষ থেকে শিশিরকান্তি মণ্ডল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,"আলু চাষিদের উপর অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যে সরকারের পুলিশ। ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করতে দিচ্ছে না । আমরা চাই ন্যায্য মূল্যে রাজ্যে সরকার সব আলু কিনে নিক। তাছাড়া এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আলু রফতানি করার উপর যে নিষেধাজ্ঞা রাজ্যে সরকার জারি করেছে সেটিও অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে । আমরা বিগত তিন বছর ধরে আলুর দাম পাচ্ছিলাম না । তখন রাজ্য সরকার আমাদের দেখেনি । এবার দাম পাচ্ছি । আর তাতে সমস্যার সৃষ্টি করছে রাজ্য সরকার ।"
জানা গিয়েছে, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, আলু রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার-সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি আলু চাষি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয় ৷ শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছয় মিছিলটি ৷ সেসময় পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় আন্দোলনকারীদের । জেলাশাসকের দফতরে ঢুকতে না পেরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আলু চাষিরা । পুলিশি বাধার মুখে পড়ে আলু চাষিরা বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে ।
এক আলু চাষির কথায়, "আমাদের থেকে রাজ্য সরকার ন্যায্য মূল্যে আলু কিনুক । আর অবিলম্বে অসম,বিহার-সহ অন্যান্য সীমান্ত খুলে দিক । এরকম কিছু না করলে আমরা আলু বিক্রি করতে পারব না । আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করে সরকারকে স্তব্ধ করে দেব । আমার 5-7 লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া রয়েছে । আমি কী করে সেই ঋণ শোধ করব সেটাই চিন্তা করছি । এরপর তো আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে । বিষ খেতে হবে ।"