আরামবাগ, 20 মে: ভোটগ্রহণের আগের রাতে উত্তপ্ত হুগলি ৷ তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ালো খানাকুলের রাজহাটি এলাকায় ৷ ঘটনায় আহত বিজেপির রাজহাটি 1 নং পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ দু'পক্ষের 12 জন ৷ আহতদের খানাকুল ও আরামবাগ মেডিক্য়াল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে চাপা উত্তেজনা এলাকায় ।
বিজেপির অভিযোগ, রবিবার রাতে দলবল নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে বাইক নিয়ে দাপাদাপি করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ তাঁদের বাধা দেওয়া হলে বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হন তাঁরা ৷ পালটা তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের উপর হামলা করে বিজেপি ৷ যদিও অভিযোগ স্বীকার করেনি দু'পক্ষের কেউ ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খানাকুল থানার পুলিশ ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
অন্যদিকে, ভোটের আগের রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আরামবাগের মলয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ রবিবার রাতে বালিয়া এলাকায় তিন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদেরকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয় ৷
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের নাম শ্যামল রায়, কালিপদ বাগ ও শ্যামল মালিক ৷ এদের মধ্যে শ্যামল রায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক । তাঁর শরীরে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এলাকার ভোট কর্মীদের খাবারের বরাত পায় এলাকারই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। রাত হয়ে যাওয়ায় মহিলাদের পরিবর্তে সেই খাবার ভোট কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতে যান শ্যামল রায় । খাবার দিয়ে ফেরার সময় পথ আটকে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে ৷ লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে বাঁচানোর জন্য এলাকায় ছুটে গেলে শ্যামল মালিক ও কালিপদ বাগকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । পরে স্থানীয়রাই তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যালে ভরতি করেন ৷
ঘটনায় তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বিজেপি । যদিও ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরামবাগ বিজেপি নেতৃত্ব । ঘটনার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পোঁছয় আরামবাগ থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: