কোচবিহার, 8 মে: দিনে 10 থেকে 12 ঘণ্টা পড়াশোনা আর সাতজন গৃহশিক্ষকই তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে ৷ উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্য়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে জানালেন কোচবিহার সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী প্রতীচী রায় তালুকদার ৷ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 493 ৷ সার্বিকভাবে চতুর্থ স্থান পেলেও রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রতীচী-ই ৷
মাত্র চার নম্বরের জন্য মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় জায়গা না-পাওয়ার আক্ষেপ ছিল ৷ উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ হয়ে সেই আক্ষেপ ঘোচালেন প্রতীচী ৷ অসাধারণ সাফল্যে স্বভাবতই খুশি সুনীতি অ্যাকাডেমির পড়ুয়ার ইচ্ছে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার ৷ তবে কোচবিহারের দেবীবাড়ির বাসিন্দা প্রতীচির পড়াশোনার পাশাপাশি উৎসাহ আর্ট ও সঙ্গীত নিয়েও। অবসর গানেই কাটে বলে জানালেন মেয়েদের মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী ৷
প্রতীচী বলেন, "দিনে 10 থেকে 12 ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম ৷" তবে রাত জেগে পড়ার চেয়ে ভোরে পড়াশোনা করাই তিনি বেশি পছন্দ করতেন বলে জানালেন প্রতীচী ৷ শুধু তাই নয়, বাবার উৎসাহে শরীরচর্চাও চলত নিয়মিত ৷ প্রতীচী আরও জানান, তাঁর আশা ছিল সে প্রথম পাঁচে থাকবে ৷ মা-বাবা দু'জনেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত, তাই এই সাফল্যে মা-বাবার অবদান তো রয়েইছে; তবে প্রতীচী কৃতিত্ব ভাগ করে নিচ্ছেন তাঁর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও ৷
আগামিদিনে ডাক্তারি নিয়ে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছে রয়েছে, আর সে কারণেই এবার মেডিক্যালে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানান প্রতীচী ৷ কিন্তু ডাক্তারি-ই কেন? এই প্রশ্নের জবাবে প্রতীচী জানায়, মানুষের সেবা করার লক্ষ্যেই তাঁর এই পরিকল্পনা। মেয়ের সাফল্যে খুশি প্রতীচীর মা এবং বাবা-ও ৷ তাঁরা জানান, ও (প্রতীচী) ভীষণ পরিশ্রম করেছে ৷ মেয়ের সাফল্যে খুশি তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: