ETV Bharat / state

'শক্তি যাচাই'য়ে একলা চলো কংগ্রেসের ? উপনির্বাচনের 6 আসনের জন্য 17 নাম পৌঁছল দিল্লিতে

উপনির্বাচনের 6টি আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে 17 জনের নামের প্রস্তাব দিল্লিতে পাঠাল প্রদেশ কংগ্রেস ৷ এবার তারা একলা লড়ার পথেই হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

ETV BHARAT
'শক্তি যাচাই'য়ে এবার কংগ্রেসের একলা চলো ? (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 6 hours ago

কলকাতা, 21 অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে দলের 'শক্তি যাচাই ও শক্তি বৃদ্ধি'র কথা বলেছিলেন শুভঙ্কর সরকার । সেই মতোই এবারের উপনির্বাচনে জেলা নেতাদের সম্মতিতে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধানভবন । সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে নাম পাঠানো হয়েছে । সেই তালিকা থেকে বাছাই করা ছয়জনের নাম প্রার্থী হিসেবে দিল্লির অনুমতি নিয়ে ঘোষণা করা হবে ।

এক প্রদেশ নেতা বলেন, "বিধানসভাপিছু তিনজনের নাম দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে । তার মধ্যে একটি বিধানসভাতে দু'জনের নাম থাকায় মোট 17 জনের নামের তালিকা পৌঁছেছে দিল্লিতে । সেখান থেকে বাছাই করে দিল্লি প্রদেশ নেতৃত্বকে জানাবে, কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন ৷ তার পরই ঘোষণা হয়ে যাবে ।" ফলে এবারের উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হচ্ছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

ETV BHARAT
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার (নিজস্ব চিত্র)

শুধুই কি শক্তি যাচাই ? কংগ্রেস কি বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমঝোতায় যেতে রাজি নয় ? এ বিষয়ে আরেক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বলেন, "এমনটা বললে ভুল হবে । রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতির কেলেঙ্কারির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গতিপ্রকৃতি দেখলেই বিজেপি তৃণমূলের আঁতাত স্পষ্ট বোঝা যায় । এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে কংগ্রেসও লড়াই করছে । কিন্তু, গত কয়েকটি নির্বাচনে কংগ্রেসই আগ-বাড়িয়ে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিয়েছিল । এবারের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছি আমরা । কিন্তু, আমাদের কাছে অফিশিয়ালি কোনও বার্তা না-আসায় একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে । জেলা নেতৃত্বও সেটাই চাইছে ।"

যদিও এই একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ বিধানভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলেননি । বরং, তিনি একই লক্ষ্য নিয়ে দুই রাজনৈতিক দল একই অভিমুখে হাঁটলে কী ক্ষতি হবে, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন । শুভঙ্কর সরকার বলেন, "নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে আমরা পাশাপাশি না-হেঁটে পুকুরের দু'পাশ দিয়ে হাঁটলে ক্ষতি কী ?"

তাহলে কি উপনির্বাচন নিয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও আলোচনা হয়নি বা কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ? এ বিষয়ে শুভঙ্কর সরকার বলেন, "কংগ্রেস বরাবরই আলোচনায় বিশ্বাসী । নির্দিষ্ট সময় এলে সমস্ত কিছুই জানা যাবে । কোনও আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলে তখনই তো সেটা প্রকাশ্যে বলা যায় ।"

কলকাতা, 21 অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে দলের 'শক্তি যাচাই ও শক্তি বৃদ্ধি'র কথা বলেছিলেন শুভঙ্কর সরকার । সেই মতোই এবারের উপনির্বাচনে জেলা নেতাদের সম্মতিতে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধানভবন । সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে নাম পাঠানো হয়েছে । সেই তালিকা থেকে বাছাই করা ছয়জনের নাম প্রার্থী হিসেবে দিল্লির অনুমতি নিয়ে ঘোষণা করা হবে ।

এক প্রদেশ নেতা বলেন, "বিধানসভাপিছু তিনজনের নাম দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে । তার মধ্যে একটি বিধানসভাতে দু'জনের নাম থাকায় মোট 17 জনের নামের তালিকা পৌঁছেছে দিল্লিতে । সেখান থেকে বাছাই করে দিল্লি প্রদেশ নেতৃত্বকে জানাবে, কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন ৷ তার পরই ঘোষণা হয়ে যাবে ।" ফলে এবারের উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হচ্ছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

ETV BHARAT
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার (নিজস্ব চিত্র)

শুধুই কি শক্তি যাচাই ? কংগ্রেস কি বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমঝোতায় যেতে রাজি নয় ? এ বিষয়ে আরেক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বলেন, "এমনটা বললে ভুল হবে । রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতির কেলেঙ্কারির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গতিপ্রকৃতি দেখলেই বিজেপি তৃণমূলের আঁতাত স্পষ্ট বোঝা যায় । এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে কংগ্রেসও লড়াই করছে । কিন্তু, গত কয়েকটি নির্বাচনে কংগ্রেসই আগ-বাড়িয়ে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিয়েছিল । এবারের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছি আমরা । কিন্তু, আমাদের কাছে অফিশিয়ালি কোনও বার্তা না-আসায় একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে । জেলা নেতৃত্বও সেটাই চাইছে ।"

যদিও এই একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ বিধানভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলেননি । বরং, তিনি একই লক্ষ্য নিয়ে দুই রাজনৈতিক দল একই অভিমুখে হাঁটলে কী ক্ষতি হবে, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন । শুভঙ্কর সরকার বলেন, "নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে আমরা পাশাপাশি না-হেঁটে পুকুরের দু'পাশ দিয়ে হাঁটলে ক্ষতি কী ?"

তাহলে কি উপনির্বাচন নিয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও আলোচনা হয়নি বা কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ? এ বিষয়ে শুভঙ্কর সরকার বলেন, "কংগ্রেস বরাবরই আলোচনায় বিশ্বাসী । নির্দিষ্ট সময় এলে সমস্ত কিছুই জানা যাবে । কোনও আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলে তখনই তো সেটা প্রকাশ্যে বলা যায় ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.