আসানসোল, 7 ডিসেম্বর: এ যেন একেবারে পুষ্পা সিনেমা । দুধের কন্টেনারে চন্দন কাঠ পাচারের ছবি দেখা গিয়েছিল রিল লাইফে । কিন্তু রিয়েল লাইফে দেখা আলু পাচারের অসাধু পন্থা । পশুখাদ্যের চালানের আড়ালে এ রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে আলু পাচার করা হচ্ছিল । কিন্তু পুলিশের কড়া নজরদারিতে ধরা পড়ে গেল লরি । ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় উঠে এল সেই চিত্র ।
রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী আলুর দাম । আর আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে আলু সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা টেনেছেন । বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্টে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ ও ট্রাফিক । এ রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে আলু সরবরাহের চেষ্টা হলেই তা আটকানো হচ্ছে । লরি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুনরায় এ রাজ্যে । কিন্তু এবার আলু পাচারের এক অসাধু চক্রের খোঁজ পাওয়া গেল ।
ভুয়ো চালানের নিয়ে ত্রিপলে লরি ঢেকে আলু পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল একদল অসাধুচক্র । পুলিশের কড়া নজরদারিতে শেষ রক্ষা হল না । বেশ কয়েকটি এমন লরিকে ধরে এ রাজ্যে ঘুরিয়ে দেওয়া হল । কিন্তু তারও মাঝে একটি লরি পুলিশের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই আটক করা হল লরিটিকে । আটক করা হল চালককেও । খালাসি পালিয়ে যায় । যদিও বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডিহি চেকপোস্টের পার্কিং থেকে অদূরে ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই খালাসি ।
বিপ্লব মণ্ডল নামে ওই খালাসি বলেন, "আমরা মাটি লোড করতে চেয়েছিলাম । কিন্তু মালিক আমাদের জোর করে আলু লোড করতে বলে । চালানের বিষয়টি বলতে পারব না । চালক জানে সেসব কথা । গাড়িটিকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে ।"
লরির চালকরা জানাচ্ছেন, রাস্তায় কোনও দালাল তাদের এই পশুখাদ্যের চালান দিয়েছে । এই চালান নিয়ে চুপিসাড়ে লরি অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার নিদান দিয়েছিল দালালরা । কিন্তু পুলিশ ধরে ফেলে । অর্থাৎ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আলু পাচারের চেষ্টা শুরু হয়েছে, এমন ঘটনা এবার সামনে এল ।
কুলটি থানার পুলিশ জানিয়েছে, কোনও অসাধু উপায়ে আলু নিয়ে এ রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়া যাবে না । পুলিশ দিন রাত সচেষ্ট আছে । শুক্রবার রাত থেকে অন্তত 20টি আলু ভর্তি লরি এ রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে ।