রঘুনাথগঞ্জ, 31 অগস্ট: অন্তসত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল পলিক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে। গর্ভবতি ওই মহিলার পেটে লাথি মারারও অভিযোগ উঠেছে। অমানবিক এই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে রঘুনাথগঞ্জে। আক্রান্ত মহিলা রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পলিক্লিনিকের মালিককে গ্রেফতার করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বেসরকারি পলিক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন সোনালি মণ্ডল। এরপরই বেসরকারি ওই পলিক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্তা মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ মহিলার কাছ থেকে রক্তের রিপোর্টের জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবি করে বেসরকারি পলিক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদ করেন মহিলার মা। সেই নিয়েই উভয়ের মধ্যেই বচসার সৃষ্টি হয়। এই বচসার মাঝেই পলিক্লিনিকের মালিক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সোনালি মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করে পেটে লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ।
এরপর পলিক্লিনিকের মেঝেতেই পড়ে যান মহিলা। পরে রঘুনাথগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয় ওই অন্তঃসত্ত্বা সোনালি মণ্ডল। পলিক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বেসরকারি পলিক্লিনিকের মালিককে গ্রেফতার করে রঘুনাথগঞ্জ থানা পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার জেরে শহরজুড়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। হাসপাতাল মোড়ে পলিক্লিনিলের সামনে বিক্ষোভ দেখান বহু মানুষ। আক্রান্ত অন্তসত্ত্বাকে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভ্রুণের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, "মহিলাকে মারধর করা হয়েছে। আমরা বাধাও দিয়েছিলাম। ধাক্কা খেয়ে উনি পড়েও যান। নিন্দার ঝড় এলাকায় ৷"