সন্দেশখালি, 13 ফেব্রুয়ারি: কয়েকদিন ধরেই সন্দেশখালির মহিলাদের উপর ভয়ংকর নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছেও সেই একই অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন সেখানকার মহিলারা । সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ বার সক্রিয় হল পুলিশ প্রশাসন । নারী সুরক্ষায় গঠন করা হয়েছে 10 সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ।
ডিআইজি পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে কমিটি ৷ এই কমিটি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে । পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে নির্যাতন নিয়ে মুখ খোলা মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলবে এই কমিটি । এমনকি পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করে মহিলাদের আশ্বস্ত করে বলা হবে, তাঁদের কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁরা যেন থানায় গিয়ে সে বিষয়ে অভিযোগ জানান ।
এ নিয়ে বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি সুমিত কুমার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ৷ তাঁরা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন । তদন্তে কোনও খামতি রাখা হবে না বলেও দাবি করেছেন এই দুই পুলিশ কর্তা ।
বসিরহাটের পুলিশ সুপারের কথায়, "যাঁরা ধর্ষণ এবং অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন, সেই সমস্ত অভিযোগকারীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এসপি (হোমগার্ড) পাপিয়া সুলতানা কথা বলেছেন । তাতে চারটি অভিযোগ সামনে এসেছে । তবে কোথাও নির্যাতনের অভিযোগ আসেনি । তারপরও সবটা নিশ্চিত করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হল । যদি কারও অভিযোগ থাকে কমিটিকে জানাতে বলা হবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ।"
বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, "বিষয়টির মধ্যে সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানোর চেষ্টা হয়েছিল ৷ কিন্তু এর মধ্যে কোনও সাম্প্রদায়িকতার বিষয় নেই । 10 জনের কমিটি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখবে । সাধারণ মানুষের কাছেও আমাদের আবেদন, তাঁরা যেন পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেন ।"
এ দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে কমিটি গঠনের পরই মঙ্গলবার ডিআইজি(সিআইডি) সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে । সেই সঙ্গে প্রশাসন বুঝিয়ে দিয়েছে, অভিযোগের সারবত্তা আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে ।
আরও পড়ুন: