কলকাতা, 27 মে: সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের আগে খাস কলকাতা থেকে গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি। এই দুই বাংলাদেশি নাগরিক লক্ষাধিক টাকার চোরাই মোবাইল ফোন পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ ৷ কলকাতার রবীন্দ্র সরণীর একটি গেস্ট হাউসে গোপন অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ঢাকার বাসিন্দা জানুল হোসেন এবং মোহাম্মদ জামিলকে। ঘটনায় কোনও আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ৷
লালবাজার সূত্রের খবর, রবিবার রাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল নির্দেশ দেন শহরের সমস্ত বড় রাস্তা থেকে ছোট রাস্তায় নাকা তল্লাশি অভিযান চালাতে ৷ সেই নির্দেশ মতোই রাতে চলে নাকা তল্লাশি। অভিযোগ, সিআর অ্যাভিনিউয়ে সন্দেহ হওয়ায় এক বাইক চালককে আটক করেন তদন্তকারীরা। বাইকটি একটি অনলাইন ট্যাক্সি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায় ৷ সেই বাইকের পিছনে যিনি আরোহী ছিলেন তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় ৷ আরোহীর সঙ্গে ছিল একটি বড় ব্যাগ ৷ সেই ব্যাগ তল্লাশি করতে গিয়ে উদ্ধার হয় একাধিক মোবাইল ফোন ৷ এত ফোন কোথা থেকে এল, তার সঠিক উত্তর দিতে না পারায় বউবাজার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন ওরফে মিরাজকে (46) ৷
আরও পড়ুন: দুই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন! মালদায় গ্রেফতার 3 যুবক
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে এসে এই রাজ্যে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর একটি অনলাইন ট্যাক্সি পরিষেবা সংস্থায় যোগ দিয়েছিল অভিযুক্ত। লালবাজার সূত্রের খবর, ধৃত মিরাজের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে 124টি মোবাইল ফোন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য 31 লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে মিরাজকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ফোনগুলি তিনি সারাইয়েরর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ যদিও পরে তদন্তকারীরা দেখতে পান ফোনগুলির মধ্যে ছিল বাংলাদেশের নম্বর। এরপরই আটক হওয়া মিরাজকে সঙ্গে করে রাতভর তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ।
এরপর বউবাজার থানা এলাকারই একটি গেস্টহাউস থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও দুই বাংলাদেশিকে। এখনও আরও দু'জন বাংলাদেশি পলাতক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার পেছনে জড়িত রয়েছে কোনও আন্তর্জাতিক চক্র। কলকাতা থেকে পাচার করা হচ্ছে, লক্ষাধিক টাকার মোবাইল এবং তারপর সেগুলি চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। পলাতক আরও দুই বাংলাদেশির খোঁজে চলছে তল্লাশি ৷
আরও পড়ুন: কানপুর থেকে নিখোঁজ মালদার যুবক, অসহযোগিতার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে