সাঁকরাইল, 12 মে: আগামী 20 মে শুধু সরকার বাছলে হবে না। বাংলার আগামীকেও বেছে নিতে হবে। হাওড়ার সাঁকারাইলের সভা থেকে এই ভাষাতেই ভোটারদের নতুন বাংলা গড়ার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সুপার সানডে-তে রাজ্য সফরে এসে চারটি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। দিন শেষে সাঁকরাইলের সভা থেকে আরও একবার দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়ার ডাক দিলেন তিনি।
হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর সমর্থনে করা সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন। তাঁর কথায় একদিকে কংগ্রেসের অত্যাচার, দুর্নীতি এবং তোষণ অন্যদিকে বামেদের স্বৈরচারী মনোভাবের সংমিশ্রণে তৃণমূল তৈরি হয়েছে। প্রথমে কংগ্রেস ও সিপিএম এবং পরে তৃণমূল বাংলার সর্বনাশ করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে।
এরপর সরাসরি হাওড়ার প্রশ্নে আসেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, "একটা সময় ছিল যখন হাওড়া বিভিন্ন উদ্যোগের হাব ছিল। এখানে বিভিন্ন ধরনের মিল থেকে শুরু করে কারখানা ছিল। কিন্তু প্রথমে বামেরা আর কংগ্রেস পরে তৃণমূল সব শেষ করে দিয়েছে। এখানকার পোশাক শিল্প এখন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি মান্ডিতে গিয়েও কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ফসল বেঁচতে পারছে না । ঠিক এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতাদের নিশানা করেনন তিনি। বলেন, "তৃণমূল নেতাদের কাজ গোলমাল আর তৃণমূল কর্মীদের কাজ জোর করে জমি দখল।" অন্য একটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দুর্নীতির মুক্ত বাণিজ্য চালায় তৃণমূল। অন্য দুর্নীতির পাশাপাশি লটারি দুর্নীতির নেপথ্যেও আছেন তৃণমূলের নেতারা। এই লটারি দুর্নীতি বাংলার যুব সমাজকে শেষ করে দিয়েছে। অথচ সরকার সেই দোষীদেরই বাঁচাচ্ছে।"
ভাষণের একটি অংশে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ আসে। মহিলাদের অত্যাচার নিয়ে আরও একবার সরব হন মোদি। তাঁর দাবি, তৃণমূলের শাসনে মহিলারা সুরক্ষিত নন। সন্দেশখালিতে কী হয়েছে সেটা পুরো দেশ দেখেছে। এখন অভিযুক্তরা সিবিআই হেফাজতে আছে। তবে তৃণমূল এখনও তার হয়ে ব্যাটিং করছে। ভাষণের একেবারে শেষ দিকে বাংলার পরিকাঠামো নিয়েও মন্তব্য করেন মোদি।
তিনি জানান, হাওড়া-সহ বাংলায় আন্তর্জাতিক পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। হাওড়ায় জলের তলা দিয়ে মেট্রো চলছে। দেশের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। পাশাপাশি শালিমার এবং সাঁতরাগাছি স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, বাংলাকে যে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে তা একমাত্র বিজেপিই পূরণ করতে পারে। বাংলাকে উন্নয়নের রাস্তা নিয়ে আসাই বিজেপির শপথ।
আরও পড়ুন:
- ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রচারে মোদির মুখে চটকল শিল্পের দুরাবস্থা
- শাহজাদার বয়সের থেকে কম আসন পাবে কংগ্রেস, মন্তব্য মোদির