জলপাইগুড়ি, 1 এপ্রিল: আচমকা প্রবল ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ির কিছু এলাকা ৷ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি 170 জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই সঙ্গে, বিজেপি নেতা-কর্মীদের দ্রুত বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷
রবিবার কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার একাংশ ৷ যার জেরে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে 4 জনের ৷ একাধিক জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় ৷ পুলিশ, দমকল ও পৌরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে ৷ বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাছ উপড়ে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ার কারণে শিলাবৃষ্টি-সহ প্রবল বাতাস জেলা সদর শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং পার্শ্ববর্তী ময়নাগুড়ির অনেক এলাকায় আঘাত হানে ৷
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রাজারহাট, বার্নিশ, বাকালি, জোড়পাকদি, মাধবডাঙ্গা এবং সাপ্তিবাড়ি, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক একর কৃষি জমি এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝড়ে প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন ৷ তিনি আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন ৷ তাঁদের ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করতেও বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে । যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি ৷" একই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘আমি সমস্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি ৷’’ অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে গিয়েছেন ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও কথা বলেছেন ৷
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও সোমবার জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ৷ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল ৷ পাশাপাশি জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজভবনে একটি জরুরি সেলও খোলা হয়েছে বলে রাজভবনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল দিল্লির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ৷ জলপাইগুড়িকাণ্ডে যাবতীয় সাহায্যের জন্য অনুরোধও করেছেন করেছেন তিনি। অন্যদিকে, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, ঝড়ে দিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার (52), অনিমা বর্মণ (45), জগেন রায় (72) এবং সমর রায় (64)-এর মৃত্যু হয়েছে। ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, "বেশ কয়েকজন পথচারী শিলাবৃষ্টিতে আহত হয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে ৷ হেল্পডেস্কও খোলা হয়েছে ৷’’
(পিটিআই)
আরও পড়ুন