কলকাতা, 1 এপ্রিল: উত্তরবঙ্গের ঝড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তিনি ফোন করে কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে । সোমবার তিনি নিজেই এক সোশাল মিডিয়ার বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন । এই অবস্থায় সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি ।
রবিবার রাতে উত্তরবঙ্গে আচমকা দুর্যোগের ফলে সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । ঝড়ের কবলে পড়ে ইতিমধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত শতাধিক । গতকাল রাতেই এই দুর্যোগ পরিস্থিতির খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও । উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও । যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । শাসক এবং বিরোধী উভয় পক্ষ যখন উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সক্রিয়, ঠিক তখনই এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি এই নিয়ে ফোন করে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ৷ জানা গিয়েছে, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে অসম এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীদেরও কথা হয়েছে ।
সোশাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, "ঝড়ের কারণে পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং মণিপুরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন । মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি । নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি ।" বিজেপির সমস্ত কার্যকর্তাদের এই সংকটের সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার এবং তাঁদের সম্ভাব্য সবরকম সাহায্য করার আবেদন করেছেন শাহ ।
এ দিকে, উত্তরবঙ্গে পৌঁছে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী ঝড়ে দুর্গত মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন । হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি । এ দিন উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা । তিনি বলেন, "গুরুতর আহতদের বাড়ির লোকেদের অনুরোধ করব, পরিজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে । যাঁদের হাত-পা ভেঙেছে, ওই হাসপাতালে থাকলে তা জোড়া নাও লাগতে পারে ।"
একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে একজন নিউরোসার্জন না-থাকা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি । তিনি বলেন, "যাঁদের নার্ভে চোট, তাঁরা কোনও পরিষেবাই পাবেন না । কারণ আলিপুরদুয়ার থেকে মালদহ পর্যন্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নেই কোনও নিউরো সার্জেন । গত 13 বছরে সরকার কেন ব্যবস্থা করতে পারল না !"
এ দিন উদ্ধারকাজ ঠিকমতো না-হওয়ার অভিযোগও করেছেন শুভেন্দু । তাঁর অভিযোগ, "বেশিরভাগ কাজটাই এনডিআরএফ করেছে । বাকি কাজ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে । কাজের থেকে ফটো তোলার কাজ বেশি হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: