কলকাতা, 13 এপ্রিল: বাঙালির কাছে বাংলা নববর্ষ মানেই আলাদা উত্তেজনা ৷ সারা বছর পশ্চিমি পোশাকে অভ্যস্ত প্রজন্ম পয়লা বৈশাখে বাঙালি সাজে সেজে ওঠে ৷ বাঙালিদের অন্যতম উৎসবই হল বাংলা নববর্ষ । আর এই বছর বাংলা নববর্ষ পড়েছে রবিবার । একে ছুটির দিন, তার উপর পয়লা বৈশাখ ৷ এক প্রকার ডবল আনন্দ। আর এই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে খাওয়া-দাওয়া থেকে নতুন জামাকাপড়, কোনওটাই বাদ যায় না ৷ তাই পয়লা বৈশাখের আগে চৈত্রের শেষ দিনে হাতিবাগান, গড়িয়াহাটে উপচে পড়ছে ভিড় ।
এই বছর গরম অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি ৷ অনেকেই সেই সময়ে বাড়ি থেকে বেরতে পারেননি ৷ তাই শেষ দিনের কেনাকাটায় সেই খামতিটুকুও মিটিয়ে ফেলতে চান ৷ এদিন উত্তরের হাতিবাগান থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাটে ভিড়। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আমজনতা ৷
চৈত্র সেলে বিকিকিনিতে আসা এক ক্রেতা জানালেন, বাংলার নববর্ষে খাওয়া-দাওয়া ও নতুন জামাকাপড়, দু’টোই বাঙালির খুব প্রিয় । গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগানের চৈত্র সেল মানেই নতুন কাপড় থেকে বিছানার চাদর ও জানালার পর্দা সবই পাওয়া যায় ৷ তাই সারা বছরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এই সময়েই কিনে নেন অনেকে ৷ চৈত্র সেলে কিনতে আসা আরও এক ক্রেতা বলেন, "এত সস্তায় জিনিসপত্র কোনও জায়গায় পাব না। তার উপর সেল। ফলে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে চুটিয়ে কেনাকাটা করছি। বাড়িতে মা বা থেকে স্বামী-সন্তান, সকলকেই নতুন বছরের নতুন জামা-কাপড় উপহার দিয়ে থাকি । এবারও সেই প্রস্তুতি । তাই কেনাকাটাও জোরকদমে ৷"
এক দোকানদারের কথায়, ‘‘চৈত্র সেলের বাজার দিন 15 আগে থেকে শুরু হয়েছে ৷ তীব্র গরম থাকায় এই বছর বাজার প্রথমের দিকে খুব একটা জমজমাট ছিল না । শেষের সপ্তাহ থেকে বাজার জমে উঠেছে ৷ ভালো বিক্রি হচ্ছে ৷ চৈত্রের শেষদিন বলে আজ সকাল থেকেই ক্রেতাদের ঢল নেমেছে ৷ মনে হচ্ছে আজকের বাজার ভালোই যাবে। বেশ রাত পর্যন্ত বিক্রিবাট্টা চলবে ।’’
আরও পড়ুন: