ETV Bharat / state

মদ্যপ চিকিৎসক ! গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু; উত্তপ্ত সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ - Sagore Dutta Hospital - SAGORE DUTTA HOSPITAL

Sagore Dutta Hospital Incident: মদ খেয়ে রয়েছেন চিকিৎসক ৷ ফলে বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যু হল রোগীর ৷ এই অভিযোগে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ দেখাল রোগীর পরিজনরা ৷

Sagore Dutta Hospital Incident
উত্তপ্ত সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 17, 2024, 8:59 PM IST

কামারহাটি, 17 সেপ্টেম্বর: মদ‍্যপ অবস্থায় জরুরি বিভাগে ডিউটি করছিলেন কর্তব্যরত এক চিকিৎসক । সেই কারণে চিকিৎসা না-করিয়ে রোগীকে ফেলে রাখা হয় বেশ কয়েক ঘণ্টা । এর জেরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে সেই রোগীর । এমনই অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে নামানো হয় র‍্যাফ এবং বিশাল পুলিশবাহিনী ।

রোগীর পরিবারের দাবি, রোগীকে যে চিকিৎসক দেখছিলেন, তিনি মদ‍্যপ অবস্থায় ছিলেন । যদিও রোগীর পরিবারের এই দাবি মানতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে ।

জানা গিয়েছে, মৃত ওই রোগীর নাম প্রশান্ত কুমার সাউ । বছর উনপঞ্চাশের প্রশান্ত'র বাড়ি টিটাগড়ের তালপুকুরে । পেশায় তিনি টিটাগড় এম্পায়ার জুটমিলের শ্রমিক । এছাড়া হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন প্রশান্ত । কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন । এছাড়া তাঁর ডায়াবিটিস এবং হৃদরোগের সমস্যাও ছিল । জ্বর না-কমায় সোমবার রাতে অসুস্থ প্রশান্তকে ব‍্যারাকপুরের বিএন বোস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল । চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে এক বোতল রক্ত দেওয়া হয় । কিন্তু, তাতেও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না । শেষে মঙ্গলবার সকালে ওই রোগীকে সেখান থেকে রেফার করে পাঠানো হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পরেও তাঁর চিকিৎসা সঠিক সময়ে শুরু হয়নি । দীর্ঘক্ষণ রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় । তার ওপর কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন মত্ত অবস্থায় । তাঁর গাফিলতি এবং বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার জন্যই মৃত্যু হয়েছে রোগীর ।

প্রশান্ত'র ভাই রোহিতকুমার সাউ বলেন, ‘‘জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মত্ত অবস্থায় থাকায় তিনি ঠিকভাবে কথা বলতে ও লিখতে পারছিলেন না । রোগীর ইসিজি রিপোর্টও ঠিকমতো দেখতে পারছিলেন না ওই চিকিৎসক । রোগীর মৃত্যুর পরেও চিকিৎসক বলে গিয়েছেন, চিকিৎসা চলছে । তিনি বেঁচে রয়েছেন ।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে নিহত প্রশান্ত'র দাদা বিনোদকুমার সাউয়ের গলাতেও । তাঁর কথায়, ওই চিকিৎসক জরুরি বিভাগে কোনও চিকিৎসাই করেননি । একবার করে স্টেথোস্কোপ বুকে লাগাচ্ছেন । আবার এসে বসে যাচ্ছেন । আড়াই ঘণ্টা কোনও চিকিৎসাই হয়নি ভাইয়ের । ফেলে রেখে দিয়ে ওকে মরতে সাহায্য করেছে ওই চিকিৎসক ।

বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ (এমএসভিপি) সুজয় মিস্ত্রি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ওই চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়।রোগীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলি । কাজের সময় তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল । ওই চিকিৎসককে হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে পাঠানো হয়েছে । সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে দেখবেন ।’’ তবে ওই চিকিৎসকের মত্ত থাকার কথা মানতে চাননি সুজয় । তাঁর দাবি, ‘‘ওই চিকিৎসকের সোমবার নাইট ডিউটি ছিল । মত্ত হলে সারা রাত তিনি ডিউটি করতে পারতেন না ।’’

আরও পড়ুন:

কামারহাটি, 17 সেপ্টেম্বর: মদ‍্যপ অবস্থায় জরুরি বিভাগে ডিউটি করছিলেন কর্তব্যরত এক চিকিৎসক । সেই কারণে চিকিৎসা না-করিয়ে রোগীকে ফেলে রাখা হয় বেশ কয়েক ঘণ্টা । এর জেরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে সেই রোগীর । এমনই অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে নামানো হয় র‍্যাফ এবং বিশাল পুলিশবাহিনী ।

রোগীর পরিবারের দাবি, রোগীকে যে চিকিৎসক দেখছিলেন, তিনি মদ‍্যপ অবস্থায় ছিলেন । যদিও রোগীর পরিবারের এই দাবি মানতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে ।

জানা গিয়েছে, মৃত ওই রোগীর নাম প্রশান্ত কুমার সাউ । বছর উনপঞ্চাশের প্রশান্ত'র বাড়ি টিটাগড়ের তালপুকুরে । পেশায় তিনি টিটাগড় এম্পায়ার জুটমিলের শ্রমিক । এছাড়া হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন প্রশান্ত । কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন । এছাড়া তাঁর ডায়াবিটিস এবং হৃদরোগের সমস্যাও ছিল । জ্বর না-কমায় সোমবার রাতে অসুস্থ প্রশান্তকে ব‍্যারাকপুরের বিএন বোস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল । চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে এক বোতল রক্ত দেওয়া হয় । কিন্তু, তাতেও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না । শেষে মঙ্গলবার সকালে ওই রোগীকে সেখান থেকে রেফার করে পাঠানো হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পরেও তাঁর চিকিৎসা সঠিক সময়ে শুরু হয়নি । দীর্ঘক্ষণ রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় । তার ওপর কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন মত্ত অবস্থায় । তাঁর গাফিলতি এবং বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার জন্যই মৃত্যু হয়েছে রোগীর ।

প্রশান্ত'র ভাই রোহিতকুমার সাউ বলেন, ‘‘জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মত্ত অবস্থায় থাকায় তিনি ঠিকভাবে কথা বলতে ও লিখতে পারছিলেন না । রোগীর ইসিজি রিপোর্টও ঠিকমতো দেখতে পারছিলেন না ওই চিকিৎসক । রোগীর মৃত্যুর পরেও চিকিৎসক বলে গিয়েছেন, চিকিৎসা চলছে । তিনি বেঁচে রয়েছেন ।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে নিহত প্রশান্ত'র দাদা বিনোদকুমার সাউয়ের গলাতেও । তাঁর কথায়, ওই চিকিৎসক জরুরি বিভাগে কোনও চিকিৎসাই করেননি । একবার করে স্টেথোস্কোপ বুকে লাগাচ্ছেন । আবার এসে বসে যাচ্ছেন । আড়াই ঘণ্টা কোনও চিকিৎসাই হয়নি ভাইয়ের । ফেলে রেখে দিয়ে ওকে মরতে সাহায্য করেছে ওই চিকিৎসক ।

বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ (এমএসভিপি) সুজয় মিস্ত্রি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ওই চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়।রোগীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলি । কাজের সময় তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল । ওই চিকিৎসককে হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে পাঠানো হয়েছে । সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে দেখবেন ।’’ তবে ওই চিকিৎসকের মত্ত থাকার কথা মানতে চাননি সুজয় । তাঁর দাবি, ‘‘ওই চিকিৎসকের সোমবার নাইট ডিউটি ছিল । মত্ত হলে সারা রাত তিনি ডিউটি করতে পারতেন না ।’’

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.