ETV Bharat / state

শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা, আদালতে সওয়াল ইডি'র - Bengal teachers recruitment scam

Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার ৷ আর তাঁর সঙ্গেই কাজ করেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ৷ আদালতে সওয়াল ইডি-র ৷

Teacher Recruitment Scam
শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ড (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 22, 2024, 6:30 PM IST

কলকাতা, 22 জুন: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রসন্ন রায়-সহ বেশ কয়েকজনের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসএসসি-র ছোট-বড় একাধিক আধিকারিকরা এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত। তাঁদের নির্দেশেই চলত বেআইনিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি এই বিষয়ে ইডি'র বিশেষ আদালতে সরব হয়েছে ইডি।

ইডি'র মতে এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁকে সঙ্গে দেন এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা। এঁদের মদতে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এজেন্ট প্রসন্ন রায়। এই বিষয়ে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়েছে যে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়ি ও ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা এবং তাদের সুপারিশ পত্র নিয়ে হাজির হতেন এজেন্ট প্রসন্ন রায়। এছাড়াও জানা গিয়েছে, প্রসন্ন রায়ের তরফ থেকে আনা চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা এবং সুপারিশ পত্র ভালোভাবে খতিয়ে দেখতেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর আধিকারিকদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের জন্য তৈরি করা হয়েছিল একাধিক নকল ই-মেল আইডি ৷ এমনকী নকল সুপারিশ পত্রও তৈরি করা হয়েছিল। এই নকল ই-মেল আইডি তৈরি থেকে শুরু করে নকল সুপারিশ পত্র বানানোর নেপথ্যে যে ব্যক্তি মধ্যমণি ছিলেন, তিনি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ আর তাঁর সঙ্গেই ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা।

মূলত এরপর কোন চাকরিপ্রার্থী কত টাকা দিতে পারছে, তার ওপর নির্ভর করত তাঁদের ভবিষ্যৎ ৷ এমনকী তারা কোন জায়গায় চাকরি পাবেন সেই বিষয়গুলিও টাকার উপরেই এমনটাই দাবি ইডি-র। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়কাল সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও প্রায় 150 জনের বেশি অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর সুপারিশ মঞ্জুর করা হয়েছিল। এই সুপারিশ মূলত মঞ্জুর করেছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা।

ইডি'র দাবি, এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যে শুধুমাত্র রাজ্যের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে প্রাক্তন উপদেষ্টার মত বড় বড় মাথারা রয়েছে তেমনটাই নয়। বরং একেবারে নিচুস্তর পর্যন্ত প্রায় অধিকাংশ আধিকারিক থেকে কর্মীরাও এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বলেও জানিয়েছে ইডি।

কলকাতা, 22 জুন: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রসন্ন রায়-সহ বেশ কয়েকজনের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসএসসি-র ছোট-বড় একাধিক আধিকারিকরা এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত। তাঁদের নির্দেশেই চলত বেআইনিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি এই বিষয়ে ইডি'র বিশেষ আদালতে সরব হয়েছে ইডি।

ইডি'র মতে এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁকে সঙ্গে দেন এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা। এঁদের মদতে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এজেন্ট প্রসন্ন রায়। এই বিষয়ে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়েছে যে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়ি ও ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা এবং তাদের সুপারিশ পত্র নিয়ে হাজির হতেন এজেন্ট প্রসন্ন রায়। এছাড়াও জানা গিয়েছে, প্রসন্ন রায়ের তরফ থেকে আনা চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা এবং সুপারিশ পত্র ভালোভাবে খতিয়ে দেখতেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর আধিকারিকদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের জন্য তৈরি করা হয়েছিল একাধিক নকল ই-মেল আইডি ৷ এমনকী নকল সুপারিশ পত্রও তৈরি করা হয়েছিল। এই নকল ই-মেল আইডি তৈরি থেকে শুরু করে নকল সুপারিশ পত্র বানানোর নেপথ্যে যে ব্যক্তি মধ্যমণি ছিলেন, তিনি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ আর তাঁর সঙ্গেই ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা।

মূলত এরপর কোন চাকরিপ্রার্থী কত টাকা দিতে পারছে, তার ওপর নির্ভর করত তাঁদের ভবিষ্যৎ ৷ এমনকী তারা কোন জায়গায় চাকরি পাবেন সেই বিষয়গুলিও টাকার উপরেই এমনটাই দাবি ইডি-র। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়কাল সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও প্রায় 150 জনের বেশি অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর সুপারিশ মঞ্জুর করা হয়েছিল। এই সুপারিশ মূলত মঞ্জুর করেছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা।

ইডি'র দাবি, এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যে শুধুমাত্র রাজ্যের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে প্রাক্তন উপদেষ্টার মত বড় বড় মাথারা রয়েছে তেমনটাই নয়। বরং একেবারে নিচুস্তর পর্যন্ত প্রায় অধিকাংশ আধিকারিক থেকে কর্মীরাও এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বলেও জানিয়েছে ইডি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.