জলপাইগুড়ি, 12 মে: চা বাগানে চিতাবাঘের উপস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়াল শ্রমিকদের মধ্যে এবং বাগান সংলগ্ন এলাকায়। চা বাগানে ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন দিয়ে চিতাবাঘের খোঁজে কার্যত চিরুনি তল্লাশি চালাল বনদফতর। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের লক্ষীপাড়া চা বাগানে ৷
লক্ষীপাড়া চা বাগানের শ্রমিকদের এই মুহুর্তে চিতাবাঘের উপস্থিতিতে ঘুম উড়েছে ! চিতাবাঘের খোঁজে লাগানো হয়েছে ট্রাপ ক্যামেরা, পাশাপাশি ওড়ানো হয়েছে ড্রোনও । চা শ্রমিকদের মধ্যে জাকিয়ে বসা চিতাবাঘের আতঙ্ক কাটাতে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়াডের পক্ষ থেকে করা হল সচেতনতা শিবিরও। পাশাপাশি চা বাগানের ঘুরে বেড়ানো চিতা বাঘগুলিকে চিহ্নিত করতে ওড়ানো হল ড্রোন ৷ সেই সঙ্গে বাগানের বিবি সেকশনে ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগিয়েছে বন দফতর।
বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন চা বাগানের বিবি 6 এক্সটেনশন এবং বিবি 14 নম্বর সেকশনে দুটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে ৷ চা বাগানের বিবি 3 ডি সেকশনে একটি চিতাবাঘের শাবককেও ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি বাগানের 5 নম্বর সেকশনে একটি চিতা বাঘকে দেখে গিয়েছে বলে শ্রমিকরা দাবি করেছে। বাগানের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাওয়া চিতা বাঘগুলি একটি চিতাবাঘ নাকি ঘুরে বেড়ানো চিতা বাঘের সংখ্যা অনেক বেশি, আর তা নিশ্চিত করতে বনদফতরের পক্ষ থেকে ট্র্যাপ ক্যামেরা পাতা হয়। এই ক্যামেরায় চিতা বাঘের ছবি ধরা পড়লে তা বিশ্লেষণ করে চিতা বাঘের সংখ্যা এবং তাদের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
বনদফতরের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে খাঁচা পাতা হয়েছে। এবার আতঙ্ক দূর করতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করল বনদফতর। তবে এখন দেখার কবে চিতাবাঘ খাঁচা-বন্দী হয় এবং কবে আতঙ্ক মুক্ত হয় লক্ষীপাড়া চা বাগান।
আরও পড়ুন
আশার আলো কুনোয়, 3 শাবকের জন্ম দিল নামিবিয়ান চিতা
ছাগলের লোভে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ডুয়ার্সের বাসিন্দারা