কলকাতা, 5 এপ্রিল: সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তাঁর সহকারীদের অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসায় উত্তাল রাজ্য তথা গোটা দেশ ৷ শেষমেশ গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীরা ৷ সেই সন্দেশখালির ছায়া এ বার ক্যানিংয়ের বাসন্তীতে ৷ সেখানে তৃণমূল নেতা আবুল কালাম লস্করের বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল ৷ 14 জন জমির মালিক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ।
আবুল কালাম লস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রথমে নিজের ছোট ভেড়িতে মাছ চাষ করতেন লস্কর ৷ পরে শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে ভরতগড়ে তাঁর ভেড়ির আশপাশের কয়েকশো চাষের জমি দখল করেন তিনি ৷ চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ায় তা চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে ৷
মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, এক ব্যবসায়ী তোলার জন্য দাবি করা 15 লক্ষ টাকা না-দেওয়ায় তাঁর মাছের ভেড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দেন তৃণমূল নেতা লস্কর ৷ শুধু তাই নয়, জমি দখলের পর ব্যবসায়ীর সিমেন্টের গোডাউন বন্ধ করে তাঁর শাড়ির দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ মামলাকারীর বক্তব্য, আপাতত 14 জন মামলা করলেও সেখানে কয়েকশো লোকের জমি এইভাবে দখল করেছে আবুল কালাম লস্করের দলবল ৷ একেবারে সন্দেশখালির কায়দায় মানুষকে সন্ত্রস্ত করে রেখে গরিব মানুষের জমি দখল করে ভেড়ির ব্যবসা করা হয়েছে ৷ বেশ কিছু জমির মালিক নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন ৷ কিন্তু তারপরেও জমি দখল চলছে ৷
যদিও এর আগে আবুল কালাম লস্করই হাইকোর্টে মামলা করে অভিযোগ করেন, তাঁর ভেড়ির দখল নিতে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করছে ৷ ভয় দেখাচ্ছে ৷ যার জেরে হাইকোর্ট জেলার এসপি-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয় ৷ এ দিন পালটা অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত চাষিদের মামলায় যুক্ত করার অনুমোদন দেন ৷
এরই সঙ্গে 15 এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন কেস ডায়রি আদালতে জমা দিতে হবে পুলিশকে ৷ অভিযুক্ত ওই নেতা নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ গোপন করে কেন মামলা করে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন, সেই ব্যাপারে তাঁকে হলফনামা দিয়ে জবাব দিতে হবে ৷ এই সময়ের মধ্যে ওই নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কারওকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: