কলকাতা, 7 জুন: অঙ্গদান জীবন দান ৷ ফের শহরে মিলল অঙ্গদানের নজির । একজনের বিভিন্ন অঙ্গে প্রাণ পাচ্ছেন চারজন । গত বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান বছর পিন্টু মণ্ডল (38) ৷ পরে তাঁর দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার ৷ শুরু হয় ব্যবস্থা ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত হয় একটি কিডনি, ত্বক ও কর্নিয়া থাকবে এসএসকেএম হাসপাতালে । অপর একটি কিডনি যাবে কম্যান্ড হাসপাতালে । এসএসকেএমে হাসপাতালে 42 বছর বয়সি এক পুরুষ পাবেন একটি কিডনি । অন্যটি দেওয়া হবে কমান্ড হাসপাতালের এক 42 বছর বয়সি মহিলাকে।
মহেশতলার বাসিন্দা পিন্টু । বাড়ির সামনেই একটি ভাতের হোটেলে কাজ করতেন তিনি । একমাত্র অসুস্থ দিদিকে নিয়ে চলছিল পিন্টুর সংসার ৷ তাঁর সব চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করতেন তিনিই । আচমকা 31 মে বাড়ির সামনে রাস্তাপার হওয়ার সময় বাইকের ধাক্কা খান তিনি । তাঁকে রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তড়ঘড়ি উদ্ধার করে নিকটবর্তী বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে ।
একটি শরীর বাঁচবে 7টি প্রাণ ! অঙ্গদানে ফের নজির গড়ল তিলোত্তমা
1 জুন অর্থাৎ পরের দিন ভোরবেলায় ট্রমা কেয়ার বিভাগে পিন্টুর মস্তিষ্কে একটি অস্ত্রোপচার করা হয় ৷ কিন্তু তারপরেও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি ৷ বিষয়টি নিয়ে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, "আমাদের হাসপাতাল থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল ওঁর সুস্থ হয়ে ওঠার আশা খুবই কম । একটি মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি করা হয়েছিল ওঁর জন্য । বাইরে থেকে চিকিৎসক এসে দেখে গিয়েছিলেন । অনেক চেষ্টা করেছিল এসএসকেএম হাসপাতাল । তবে শেষ রক্ষা হয়নি । পরে যখন অঙ্গদানের কথা বলা হয়, আমরা তাতে রাজি হই ৷ কারণ আমার ভাই তাহলে আরও চারজনের শরীরে বেঁচে থাকবে ।"