দুর্গাপুর, 7 মার্চ: পশ্চিম বর্ধমান জেলার সবচেয়ে প্রবীণ ভোটারের মৃত্যু ৷ বয়স হয়েছিল 115 বছর ৷ শ্রদ্ধা জানালেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ৷ বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ কাঁকসার মলানদিঘির সরস্বতীগঞ্জের বাড়িতে মৃত্যু হয় হারাধন সাহার ৷ জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি ৷ ভোটার কার্ড বলছে বয়স 105 ৷ কিন্তু পরিবারের দাবি 115 । বৃহস্পতিবার শেষ শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার । সমবেদনা জানালেন মন্ত্রী ।
গত কয়েকমাস ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি । 2019 লোকসভা নির্বাচনে নাতি নিত্যানন্দ সাহাকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটেই নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়েছিলেন । 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে যেতে না পারলেও বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছিলেন । 2023-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবার লাঠি হাতেই ভোট দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্বাচন কেন্দ্রে । আবার দোরগোড়ায় আরেকটি লোকসভা নির্বাচন । জেলার মানুষ ভেবেছিলেন এবারেও লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী থাকবেন তিনি । হঠাৎ কয়েকমাস ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা বাড়তে থাকে তাঁর । তাতেই বুধবার মৃত্যু হয় ৷
শোনা যায়, ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়ার করতে এসেছিলেন জওহরলাল নেহরুরা । 'বন্দেমাতরম' ধ্বনি দিয়ে তাঁদের লড়াইয়ের সঙ্গীও হয়েছিলেন হারাধন । খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সরস্বতীগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় এবং মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান । মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা । তারপরেই মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হল জয়দেবের কদমখন্ডির ঘাটে ।
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন,"ওনার মত একজন মানুষের চলে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক । স্বচ্ছ জীবনযাপন করতেন তিনি । এলাকার মানুষের বিপদেও ঝাঁপিয়ে পড়তেন । ওনার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি ।" আক্ষেপের সুরে নাতি নিত্যানন্দ সাহা জানান, দাদু তাকে খুব ভালোবাসতেন । তাঁকে ছাড়া এক মুহূর্ত চলত না । দিনের শুরুটাই হত দাদুর সঙ্গে গল্প দিয়ে । এভাবে দাদু তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় নিজেকে বড় একা লাগছে নিজেকে বলেও জানান ।"
আরও পড়ুন :