গাইঘাটা, 29 অগস্ট: মামাবাড়ির সঙ্গে মনমালিন্য । সেই বাড়িতে গিয়ে চা খেয়েছেন বছর মা ৷ সেই 70 বছর বয়সি কানন বিশ্বাসকে বেধরক মারধর করল ছেলে-বউমা ৷ মারের আঘাতে বৃদ্ধার হাতে একাধিক যায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছে এবং কেটে গিয়েছে ৷ বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা থানার কারোলা পাড়ুই পাড়ায় ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছেলে-বউমার নাম শিবু বিশ্বাস ও বিনা বিশ্বাস । ওই বৃদ্ধার এক ছেলে এবং এক মেয়ে ৷ ছেলে-মেয়ে যখন ছোট তখনই বৃদ্ধার স্বামী মারা যান ৷ রাস্তার পাশ থেকে শাক-পাতা তুলে কলকাতায় বিক্রি করে সংসার চালাতেন ৷ সামান্য রোজগারে নিজে আধপেটা খেয়ে ছেলে-মেয়েদের বড় করেছেন বৃদ্ধা । বয়সের ভারে এখন তিনি আর কাজ তো দূর, ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারেন না ৷ থাকেন ছেলে-বউমার কাছে ।
বৃদ্ধার কথায়, কাছেই ভাইয়ের বাড়ি । তাঁদের সঙ্গে ছেলের মনমালিন্য । গতকাল সেই বাড়িতে চা খেতে গিয়েছিলন, যা ভালোভাবে নেয়নি ছেলে শিবু । জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরলে বৃদ্ধাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করে ছেলে ও বউমা ৷ তাঁদের মারে জ্ঞান হারান তিনি । পরবর্তীতে স্থানীয়রা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন । খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বৃদ্ধার মেয়ে কণিকা বসু । মা’কে চিকিৎসা করিয়ে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ বর্তমানে সেখানেই আছেন বৃদ্ধা ৷
বৃদ্ধার বলেন, ‘‘বৌমা মেরেছে ৷ তুই ঠেকাতে পারতিস । ছেলে হয়ে তুই কি করে মাকে মারলি ? মা হয়ে আমি ছেলের শাস্তি কী করে চাই ? বলতে পারি না, ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাক । কিন্তু, ও যা করেছে তাতে শাস্তি হওয়া দরকার ।’’
মেয়ে কণিকা বলেন, ‘‘আমি সব সময় চাই সকলে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকুক ৷ আগেও শুনেছি দাদা-বউদি মা’কে মারধর করেছে ৷ গতকাল যেভাবে ওরা মা’কে মেরেছে, আমি চাই দাদা-বউদির শাস্তি হোক ।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷