আলিপুরদুয়ার, 20 সেপ্টেম্বর: মদ্যপ ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পরিবার ৷ মদ খেয়ে এসে প্রতিদিনই অশান্তি করত বাড়িতে ৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলত মারধর ৷ এর সীমা ছাড়িয়ে যায় বৃহস্পতিবার সকালে ৷ সহ্য করতে না পেরে বৃদ্ধ বাবা নাতিকে সঙ্গে নিয়ে মাতাল ছেলের হাত পা বেঁধে উঠোনে ফেলে রাখেন ৷ তবে ভাবতে পারেননি তাতে পরিণতি এমন হবে ৷ সারাদিন প্রখর রোদে ওভাবে পড়ে থেকে মৃত্যু হয় ছেলের ৷ এমনটাই অভিযোগ ৷ যদিও মৃতের বাবা তা মানতে নারাজ ৷
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা-অসম সীমানার সংকোশ নদীর তীরবর্তী শালবাড়ির ঘোলানি ঘাটে । মৃত ব্যক্তির নাম রাফায়েল মিঞ্জ (45)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাফায়েল তেমন কোনও কাজকর্ম করত না ৷ মাঝে মধ্যে দিনমজুরি করলেও বেশিরভাগ দিনে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে শাকসবজি চুরি করে, সেগুলি বিক্রি করে মদ্যপান করত । তারপর বাড়ি এসে শুরু করত অশান্তি ৷ এমনকি মৃত্যুর আগের দিন বুধবার স্ত্রী রাজো মিঞ্জকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল সে ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাফায়েল ফের মদ খেয়ে বাড়িতে এসে অশান্তি শুরু করে । এইসব দেখে তার 95 বছরের বৃদ্ধ বাবা বন্ধনা মিঞ্জ রাফায়েলের নাবালক ছেলে বিনোদকে সঙ্গে নিয়ে তার হাত-পা বেঁধে রোদের মধ্যে বাড়ির উঠোনে ফেলে রাখে । এরপর যে যার কাজে চলে যায় । বিগত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড দাবদাহ চলছিল । তাই সারাদিন প্রখর রোদে পড়ে থেকে নিস্তেজ হয়ে যায় রাফায়েল । বিকেলে এসে যখন তার হাত-পায়ের বাঁধন খোলা হয় তখন দেখা যায় দেহে আর প্রাণ নেই । সেই সময় কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পরিবারের সকলে মিলে ঘরে নিয়ে রেখে দেয় রাফায়েলের মৃতদেহ । কিন্তু, শুক্রবার বেলা একটু গড়াতেই রাফায়েলের মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীরা জেনে যায় । তারাই খবর দেয় বারোবিশা পুলিশ ফাঁড়িতে । এরপর পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে । ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ।