মালদা, 11 সেপ্টেম্বর: নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় মাত্র ন’দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা করল পুলিশ ৷ ধর্ষণের মামলায় পুলিশের এই তৎপরতার পিছনে কি রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ? উঠছে প্রশ্ন ৷
গত 28 অগস্ট মালদার হবিবপুর ব্লকে ধর্ষিতা হয় 15 বছরের এক আদিবাসী কিশোরী ৷ সে নবম শ্রেণির ছাত্রী৷ চিকিৎসা পদ্ধতি শেখানোর নামে চেম্বারে ঢুকিয়ে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে 53 বছরের এক আদিবাসী হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৷ একথা চাউর হতেই ওই চিকিৎসককে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অভিযুক্তকে উদ্ধার করে হবিবপুর থানার পুলিশ ৷
প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ এই হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা ৷ অভিযোগ পেয়েই পকসো আইনে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷
ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত চিকিৎসকের পূর্ব পরিচিত ৷ সম্প্রতি ওই চিকিৎসক নির্যাতিতার বাবাকে জানান, সে তাঁর মেয়েকে ডাক্তারি শেখাতে চায় ৷ তার প্রস্তাব মেয়েকে সেকথা জানান বাবা ৷ মেয়েও গ্রামীণ ডাক্তার হতে চায় ৷ তারপর থেকে ডাক্তারি শিখতে সে মাঝেমধ্যে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে যেত ৷ মাস ছয়েক ধরে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে তার যাতায়াত ছিল ৷ এক সন্ধেয় প্রস্রাব পরীক্ষা করার বিষয়টি হাতেকলমে শেখাবে বলে ধৃত চিকিৎসক কিশোরীকে চেম্বারে ডাকে ৷ এরপর চেম্বারের দরজা বন্ধ করে সে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ৷
বুধবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সম্ভব জৈন বলেন, “অভিযোগ দায়েরের দিনই ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয় ৷ শারীরিক পরীক্ষার পর নির্যাতিতাকে জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ মেয়েটির কাউন্সেলিংও করা হয় ৷ ঘটনার তদন্ত শেষ করে হবিবপুর থানা 6 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ অভিযোগ দায়েরের ন’দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই মামলায় মোট সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ৷ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর ধৃতের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে ৷ আশা করা যায়, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলেই আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হবে ৷”