কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশে ৷ প্রতিনিয়ত সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ আসছে ৷ এই পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র শীর্ষকর্তাদের কপালে ৷ ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বাড়াতে পারে বাংলাদেশের সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ আর তার জন্য সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করলেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে ৷
জানা গিয়েছে, জঙ্গি সংগঠনগুলি নিজেদের স্লিপার সেলকে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় করতে চাইছে ৷ এই তথ্য আগেই পেয়েছিল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ এবার সেই ইস্যুতে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তা তথা ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠক করে গেলেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে ৷ আজ ভবানী ভবনে প্রায় আধ ঘণ্টা দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয় ৷
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয় দু’জনের মধ্যে ৷ এর পাশাপাশি, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গে যে সব ঘটনার তদন্ত এনআইএ-র হাতে আছে, সেগুলি নিয়েও ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে এনআইএ প্রধানের কথা হয় ৷
সূত্রের খবর, কীভাবে একাধিক জঙ্গি সংগঠন মজবুত ও সক্রিয় হচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের স্লিপার সেল বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে, সেই বিষয়ে দু’তরফের আলোচনা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, সল্টলেকে এনআইএ ভবনে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি ৷ পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে এনআইএ কোন-কোন মামলার তদন্ত করছে, তা জানতে চান আইপিএস সদানন্দ দাতে ৷ সঙ্গে আরও কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই নিয়ে নির্দেশও দেন তিনি ৷
এই বিষয়ের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "এই প্রকারের বৈঠক আমাদের হয়েই থাকে ৷ এটা একটা রুটিং বৈঠক ৷ বর্তমানে জঙ্গি সংগঠনগুলি নিজেদের স্লিপার সেল মজবুত করছে ৷ কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানার অন্তর্গত এবং নিউ মার্কেট থানা এলাকায় গোপন অভিযান চালিয়েছে এনআইএ ৷ তাদের অভিযোগ ছিল, ভিনরাজ্য থেকে আসা জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার বেশ কয়েকজন সদস্য বেনিয়াপুকুর ও নিউমার্কেট এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল ৷ পরে সেখান থেকে ওই জঙ্গিরা হাওড়া গিয়েছিল বলে জানা যায় ৷"