কলকাতা, 5 জুলাই: অবশেষে কাটল বিধায়কদের শপথ জট। বৃহস্পতিবার রাতেই বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার জানিয়েছিলেন, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপেক্ষা করে কোনওভাবেই তিনি শপথের দায়িত্ব নিতে পারবেন না। কিন্তু সূত্রের খবর, শুক্রবার বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটিতে অধ্যক্ষ নিজেই এই জট কাটাতে উদযোগী হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিধানসভার অধ্যক্ষই দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তাতে অধ্যক্ষের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত শপথ বাক্য পাঠ করাতে রাজি হয়েছেন উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে গত 30 দিনের বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা এই শপথের জট এবার কাটতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সাত দিনের বেশি বিধানসভায় ধরনা অবস্থানের পর অবশেষে এদিন শপথের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুই নব-নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন।
এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা দু’টোতেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে। তবে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন শেষ মুহূর্তে সেই ঘোষণা করতে পারেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মনে করা হচ্ছে, অধ্যক্ষকে এড়িয়ে শপথের দায়িত্ব নেবেন না বললেও শেষ মুহূর্তে অধ্যক্ষের অনুরোধে উপাধ্যক্ষই এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আর কোনও সাংবিধানিক সংঘাত থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে আদতে কী হতে চলেছে তার জন্য দুপুর দু’টো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই বিধানসভা সূত্রে খবর ৷
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দু’টি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছিল। তৃণমূলের টিকিটে বরানগরে জয়ী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলায় জয়ী হয়েছিলেন রেয়াত হোসেন সরকার। এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক ও বিধানসভায় বিজেপির মূখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "পিএসি চেয়ারম্যান যে দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়োগ করা হয় তার বদল না হলে আমরা বিএ কমিটিতে থাকব না সেটা আগেই বলেছিলাম ৷ আর তড়িঘড়িভাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হচ্ছে ৷ এই ধরনের ছেলেমানুষি না করে ওনাদের আগেই শপথ নিতে দিলে এলাকার মানুষ পরিষেবা পেতেন ৷ গায়ের জোড়ে যে সংবিধান চলে না তা তৃণমূলের বোঝা উচিত ৷ আর এমন সময় ডাকা হয়েছে তখন আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না ৷"