দুর্গাপুর, 20 মে: সম্পত্তির লোভে এক মহিলার গায়ে আগুন লাগিয়ে তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তাঁর ভাইপোদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা । নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী দুর্গাপুরের কাঁটাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা ।
কাতর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন ভয়ংকর দৃশ্য । আমড়া গাছের তলায় দাউ দাউ করে জ্বলছেন মহিলা । নিমেষে দুর্গাপুর ফরিদপুরের কাঁটাবেড়িয়া জুড়ে পড়ে যায় শোরগোল । রবিবার সন্ধ্যায় আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করা হলেও রাতেই মৃত্যু হয় মহিলার । তাঁর নাম চায়না বাউরি (53)।
মৃতার ছেলে প্রদীপ বাউরির অভিযোগ, কাঁটাবেড়িয়া এলাকার নিজস্ব বাড়ি থেকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মা-বাবা আর তাঁদের এলাকা ছাড়া করেছিলেন মামার ছেলেরা । তারপর থেকেই মা-বাবা কখনও দিদিদের বাড়িতে, আবার কখনও তাঁদের বাড়িতে থাকতেন । মাঝেমধ্যে মা কাঁটাবেড়িয়ার বাড়িতে গেলে মামার ছেলে বাবলু বাউরি, কার্তিক বাউরী ও তাঁর বউ সরস্বতী বাউরি এবং সরস্বতীর দাদা ঠাকুর বাউরি চায়নার উপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ ।
রবিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে প্রদীপ কাঁটাবেড়িয়ায় পৌঁছে দেখেন, বাড়ির বাইরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছটফট করছেন মা । বাড়ির ভেতরেই তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । ওই অবস্থায় কোনওক্রমে বাড়ি থেকে বেরোতে পারলেও, আগুনের ভয়াবহতায় শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায় চায়নার । তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, বাবলু বাউরি ও সরস্বতী বাউড়ি-সহ চারজনকে অপরাধী হিসেবে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি ।
প্রদীপের কথায়, "দীর্ঘদিন ধরে মায়ের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল মামার ছেলেদের সঙ্গে । সেই জন্যই নির্মমভাবে মাকে পুড়িয়ে মারা হল ।" তাঁরা দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি বাউরি সমাজকেও বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান প্রদীপ ।
মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: