ETV Bharat / state

জল পড়ার প্রতিবাদ করায় গার্ডেনরিচে হাতুড়ি দিয়ে মেরে প্রতিবেশীকে খুন - Neighbour Beaten to Death - NEIGHBOUR BEATEN TO DEATH

Man Beaten to Death: রোজ রোজ পাশের বাড়ির জল এসে পড়ে তাঁদের বাড়িতে ৷ প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশীদের হাতে খুন হতে হল মহম্মদ আনিসকে ৷ অভিযোগ, হাতুড়ি-বালা দিয়ে মেরে নৃশংস্যভাবে হত্যা করা হয়েছে গার্ডেনরিচের এই বাসিন্দাকে ৷ ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ ৷

Man Beaten to Death
Man Beaten to Death
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 6, 2024, 4:08 PM IST

কলকাতা, 6 এপ্রিল: খাস কলকাতায় ফের খুন। ওয়াটগঞ্জের পর এবার ঘটনাস্থল গার্ডেনরিচ। জল পড়াকে ঘিরে বিবাদ ৷ আর তাকে কেন্দ্র করেই হাতুড়ি ও হাতের বালা দিয়ে মেরে ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি ৷ তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । এই ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এলাকায় এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ আনিস (49)। তিনি গার্ডেনরিচ এলাকারই বাসিন্দা। তাঁর বাড়িতে রোজই পাশের বাড়ি থেকে জল এসে পড়ত বলে অভিযোগ । শুক্রবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় প্রতিবাদ করেন আনিস। অভিযোগ, সেই সময় পাশের বাড়ির মোট সাত জন চড়াও হন তাঁর উপর । রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তাঁকে। হাতুড়ি ও হাতের বালা দিয়ে আনিসের মাথায় ও ঘারে আঘাত করা হয় অভিযোগ। এর ফলে তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয় আনিসের । এরপর তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ চিকিৎসকরা আনিসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে এবং খুনের মামলা রুজু করেছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । সূত্রের খবর, মৃতের ছেলে পুলিশকে বলেছেন, "আমাদের সঙ্গে পাশের বাড়ির লোকেদের প্রায়শ্যই ঝামেলা লেগেই থাকত । প্রতিদিন প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল পড়ত। বাবা তার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল । সেই সময় ওরা সাত-আটজন হাতুড়ি নিয়ে এসে চড়াও হয় বাবার উপর । বাবাকে বেধড়ক মারধর করে । হাতের বালা-হাতুড়ি দিয়ে মাথায় মেরে বাবাকে খুন করা হয়।"

আরও পড়ুন:

  1. বউদির দেহ খণ্ড করে বস্তায় ভরে নীলাঞ্জন, তা সাইকেলে চাপিয়ে আনে ওয়াটগঞ্জ
  2. ওয়াটগঞ্জে মহিলার গলার ও কোমরের নীচের অংশ খুঁজতে তৎপর লালবাজার
  3. সম্পর্কের টানাপোড়েন ! ওয়াটগঞ্জে মহিলা খুনে আটক দেওর

কলকাতা, 6 এপ্রিল: খাস কলকাতায় ফের খুন। ওয়াটগঞ্জের পর এবার ঘটনাস্থল গার্ডেনরিচ। জল পড়াকে ঘিরে বিবাদ ৷ আর তাকে কেন্দ্র করেই হাতুড়ি ও হাতের বালা দিয়ে মেরে ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি ৷ তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । এই ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এলাকায় এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ আনিস (49)। তিনি গার্ডেনরিচ এলাকারই বাসিন্দা। তাঁর বাড়িতে রোজই পাশের বাড়ি থেকে জল এসে পড়ত বলে অভিযোগ । শুক্রবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় প্রতিবাদ করেন আনিস। অভিযোগ, সেই সময় পাশের বাড়ির মোট সাত জন চড়াও হন তাঁর উপর । রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তাঁকে। হাতুড়ি ও হাতের বালা দিয়ে আনিসের মাথায় ও ঘারে আঘাত করা হয় অভিযোগ। এর ফলে তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয় আনিসের । এরপর তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ চিকিৎসকরা আনিসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে এবং খুনের মামলা রুজু করেছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । সূত্রের খবর, মৃতের ছেলে পুলিশকে বলেছেন, "আমাদের সঙ্গে পাশের বাড়ির লোকেদের প্রায়শ্যই ঝামেলা লেগেই থাকত । প্রতিদিন প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল পড়ত। বাবা তার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল । সেই সময় ওরা সাত-আটজন হাতুড়ি নিয়ে এসে চড়াও হয় বাবার উপর । বাবাকে বেধড়ক মারধর করে । হাতের বালা-হাতুড়ি দিয়ে মাথায় মেরে বাবাকে খুন করা হয়।"

আরও পড়ুন:

  1. বউদির দেহ খণ্ড করে বস্তায় ভরে নীলাঞ্জন, তা সাইকেলে চাপিয়ে আনে ওয়াটগঞ্জ
  2. ওয়াটগঞ্জে মহিলার গলার ও কোমরের নীচের অংশ খুঁজতে তৎপর লালবাজার
  3. সম্পর্কের টানাপোড়েন ! ওয়াটগঞ্জে মহিলা খুনে আটক দেওর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.