শিলিগুড়ি, 18 জুলাই: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম। তার জেরেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন শিল্প। পাহাড়ি রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার পর্যটন ব্য়বসায়ীরাও ক্ষতির মুখ দেখছেন। এখনও পর্যন্ত পর্যটনে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাড়িয়েছে 76 কোটি টাকা। সম্পূর্ণ ভেঙে পরেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা । এখনও বন্ধ রয়েছে বাংলা সিকিম লাইফলাইনের 10 নম্বর জাতীয় সড়ক ।
চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন ৷ ইতিমধ্যেই প্রায় 60 শতাংশ সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করেছে সিকিম প্রশাসন। বৃষ্টি কম থাকায় আগামী সাতদিনের মধ্যে সিকিমের 6 জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আবার স্বাভাবিক করা যাবে বলে জানা গিয়েছে ।
এই বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "এখনও পর্যন্ত পর্যটন শিল্পে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় 70 থেকে 75 কোটি টাকা। জাতীয় সড়ক এখনও বন্ধ । তবে এই সময়ই বুকিং কম থাকায় বিরাট ক্ষতি হয়নি। সামনেই পুজোর মরশুম। তার আগে জাতীয় সড়ক ও সিকিমে যাতায়াতের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সড়ক মেরামত না করলে সমস্যা বাড়বে।"এই পরিস্থিতি নিয়ে সিকিম পর্যটন দফতররে অধিকর্তা রবীন বাসনেট বলেন, "বৃষ্টি ও ধসের কারণে সিকিমের অনেক জায়গায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। সেসব রাস্তাগুলো দ্রুত সাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সমস্ত রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।"
সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাংটকের সিংথাম থেকে ডিকচু যাওয়ার রাস্তাটির একদিকে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে সিংথাম থেকে সিরওয়ানিগাঁও হয়ে আদর্শগাঁও যাওয়ার সড়ক সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে ওই রাস্তা বন্ধ রয়েছে। সিংথাম থেকে তেমিটার্কু যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ রয়েছে। ওই জেলার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত রাস্তা খুলে গিয়েছে। পাকইয়ং জেলার পাকইয়ং থেকে রোরথাং যাওয়ার রাস্তাটি দিয়ে একমুখি যান চলাচল শুরু করেছে । বাকি সমস্ত রাস্তা দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গন জেলার, মঙ্গন থেকে ফোডং হয়ে গ্যাংটক যাওয়ার রাস্তাটি দিয়ে শুধুমাত্র হাল্কা যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গন থেকে টুং হয়ে চুংথাং যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি লাচেন থেকে থাঙ্গু ও জিমা যাওয়ার সড়ক বন্ধ রয়েছে। ওই জেলায় বাকি সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
নামচি জেলার নামচি থেকে রাভাংলা যাওয়ার সড়কে একমুখী যান চলাচল শুরু হয়েছে। রাভাংলা থেকে ইয়াংগাং যাওয়ার সড়ক ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। রাভাংলা থেকে লেগশিপ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। একইভাবে বারমিয়ক থেকে ফোংলা ও মাল্লি থেকে মাল্লি বাজার যাওয়ার সড়ক বন্ধ রয়েছে। বাকি ওই জেলার সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ঘিয়ালসিং জেলার দানতাম থেকে পেলিং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। বাকি সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোরেঙ জেলার সোমবারিয়া থেকে জোরথাং ও থারপু যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে।