কলকাতা, 13 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব ছিল ৷ ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনে তদন্ত প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে এসে এ কথা কার্যত মেনে নিল জাতীয় মহিলা কমিশন ৷ আরজি করের মত সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল ৷ মহিলা হস্টেলের নীচে একটি সিসিটিভি ছাড়া আর কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই ৷ এমনটাই দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের ৷
মঙ্গলবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা আরজি কর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয় জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের ৷ বৈঠক শেষে বেরিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য ডেলিনা খংদুপ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমরা সিকিউরিটি এজেন্সিকে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করতে বলেছিলাম, যা হয়েছে ইতিমধ্যে । আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে । কী করতে হবে জানাব ৷ ফরেনসিক রিপোর্ট পরীক্ষা হচ্ছে । এই ঘটনায় সংখ্যায় বেশি পরিমাণে মানুষ জড়িত রয়েছে কি না, এখনও জানা যায়নি ।"
তবে পদত্যাগের কথা জানানোর সময় আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করেছিলেন । সেই বিষয়ে তাঁকে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্য । ডেলিনা খংদুপ বলেন, "আরজি কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি । ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছি । আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক । সমস্ত রিপোর্ট চেয়েছি । ছাত্রদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হবে । আজ পর্যন্ত সমস্ত রিপোর্ট দেখব ।"
এ দিন সকাল 10টা নাগাদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসে জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ দিন বৈঠক করে তারা ৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার, নতুন অধ্যক্ষ এবং নার্সিং সুপার । এছাড়াও হাসপাতালের আধিকারিকদের বৈঠকের মাঝে ডেকে পাঠানো হয়েছিল । মঙ্গলবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে জাতীয় মহিলা কমিশনের এই বৈঠক । বৈঠক শেষে ইমারজেন্সি বিভাগের সেমিনার হল অর্থাৎ ঘটনাস্থলও পরিদর্শনে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা ।
সোমবারই শহরে পৌঁছেছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তে গতি প্রকৃতি জানতে কলকাতায় এসেছে তারা ৷ গতকাল বিমানবন্দর থেকেই সোজা লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ পরে নির্যাতিতার বাড়িতেও গিয়েছিলেন কমিশনের সদস্যরা ৷ সেখানে বেশ কিছুটা সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা ৷ কী নিয়ে কথা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি ৷