কলকাতা, 5 জুলাই: মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের 16 তম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, "যার মা আছে, সে কখনও গরিব নয়"। মাতৃহারা নরেন্দ্র মোদিকে মাতৃ দিবসের মা হীরাবেন মোদির কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন চন্দননগরের বাসিন্দা দীপতনু মুখোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর মায়ের একটি পেন্সিল স্কেচ এঁকে চর্চায় আসেন। এবার দিল্লি থেকে চন্দননগরের বাসিন্দা দীপতনু মুখোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
#WATCH | On the occasion of Mother's Day, Prime Minister Narendra Modi was gifted a portrait of his mother Late Heeraben Patel during his public rally in Hooghly, West Bengal. pic.twitter.com/4h6ctu6dj9
— ANI (@ANI) May 12, 2024
এই বিষয়ে ইটিভি ভারতের তরফে যোগাযোগ করা হয় দীপতনু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৷ তিনি জানান, প্রধামন্ত্রীর পাঠানো এই চিঠি তাঁর কাছে 'লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট'। তিনি বলেন, "একজন বিজেপি সমর্থক হয়ে আমি আমার আঁকা ছবিটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় গিয়েছিলাম। লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে তাঁর যে আমার ছবিটি চোখে পড়বে এবং তিনি সেটি গ্রহণ করবেন তা ভাবতে পারিনি ৷ এরপর তিনি আমাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন, এটা আমি সত্যিই আশা করিনি। নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে অনেকে অনেকেই অনেক প্রতিশ্রুতি দেন ৷ কিন্তু ক'জনই বা সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন! তবে কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমি এর জন্য অত্যন্ত গর্বিত এবং আনন্দিত।"
তিনি আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন যে এই লোকসভা নির্বাচনে মা তাঁর সঙ্গে নেই। এই কথাটা আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। তখনই চিন্তা করি যে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মায়ের এক সঙ্গে একটি ছবি আঁকব। চিঠির উত্তরে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠাব প্রধানমন্ত্রীকে ৷ তার সঙ্গে আমার আঁকা একটি ছবিও পাঠাব ৷ তবে কি আঁকব সেটা এখনও ঠিক করিনি ৷"
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চুঁচুড়ায় জনসভা করেন ৷ গত 12 মে আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবসে ছিল সেই জনসভা ৷ এই সভায় লক্ষ লক্ষ দর্শকদের মধ্যে দু'জন যুবক নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এঁরা দু'জনেই আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মায়ের পেন্সিল স্কেচ বানিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।
দর্শক আসন থেকে বারে বারে তাঁরা নিজেদের ছবি মাথার উপর তুলে প্রধানমন্ত্রীকে দেখাবার চেষ্টা করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দেখেও ছিলেন। সেই সভা মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী ছবিটি লক্ষ করে বলেন, "এখানে দুজন আমার ও আমার মায়ের ছবি এঁকে নিয়ে এসেছেন এবং অনেকক্ষণ সেটি মাথার ওপর তুলে ধরে রেখেছেন যাতে আমি দেখতে পাই। হাত ব্যথা করবে ভাই। আপনারা আমার জন্য ছবি এঁকে নিয়ে এসেছেন। এই ছবিতে আমার মাও রয়েছেন। আপনারা ছবির পেছনে নিজেদের নাম আর ঠিকানা লিখে দিন । আমি এসপিজির নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে এই ছবিগুলি আমার কাছে নিয়ে আসছি ৷ চেষ্টা করব আপনাদেরকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর। আপনাদের দুজনকেই অনেক ধন্যবাদ।"
এরপর সেই ছবি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিরাপত্তা রক্ষীরা মঞ্চে তাঁর কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। দুটি ছবি আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ জানান, দিল্লি ফিরে গিয়ে তিনি ছবির শিল্পীদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবেন। এঁদের মধ্যেই একজন চন্দননগরের 35 বছরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র দীপতনু মুখোপাধ্যায়।