কলকাতা, 16 জুন: সোমবার ঈদুজ্জোহা বা বকরি ঈদ । মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসবকে কুরবানির ঈদও বলা হয়ে থাকে । প্রিয়জনের পরিবর্তে মুসলিম মা ভাই বোনেরা গরু, ছাগল বা অন্য প্রাণী কুরবানি দেন এদিন । এই ঈদের আগে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কলকাতার নাখোদা মসজিদ কমিটি । নাখোদা মসজিদের নাসের ইব্রাহিম বলেন, "বকরি ঈদের সময় অ-মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যাবে না ৷ সম্প্রীতি বজায় রাখাতে হবে ৷ ঈদ পালনের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷"
কী রয়েছে এই নির্দেশিকায় ?
তাতে বলা হয়েছে, "ইসলামে আকাশছোঁয়া খরচ করা অপরাধ । ফলে বকরি ঈদ পালনের ক্ষেত্রে যেন কোনওভাবেই দু'হাত খুলে খরচা না করা হয় । বদলে গরিব পরিবারকে খাবার এবং জামাকাপড় বিলি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । একইসঙ্গে কুরবানির সময় ছবি বা ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করে তা সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করা যাবে না । বকরি ঈদের সময় অ-মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে কোনওভাবেই আঘাত করা যাবে না । সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে ।"
নির্দেশিকার আরও বলা হয়েছে, "কুরবানির সময় ঘেরা জায়গায় পশু বলি দিতে হবে । বলির মাংস একটি কালো প্যাকেটে মুড়ে বিলি করতে হবে । কোনওভাবেই যেন বলির মাংস বাইরে থেকে দেখা না যায় । কুরবানির ঈদে পশু বলি সম্পন্ন হয়ে গেলে নির্দিষ্ট স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দেওয়াই প্রকৃত মুসলিমের কর্তব্য । বলির পর পশুর দেহাংশ এবং বাকি সব আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে । প্রয়োজনে কালো পলিথিন ব্যবহার করতে হবে আবর্জনা ফেলার জন্য ।"
শনিবার রাতে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও সাংবাদিক বৈঠক করে ঈদে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন । পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে সবাইকে সংযতভাবে নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে কুরবানির ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি । যারা আর্থিকভাবে দুর্বল এবং সমাজে পিছিয়ে পড়া, তাদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী ।