নৈহাটি, 13 নভেম্বর: রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে উপনির্বাচন। এর মধ্যে অন্যতম উত্তর 24 পরগনা নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই উপনির্বাচনকে ঘিরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্ধ ছিল নৈহাটির বড়মা মন্দির। কিন্তু এই মন্দির বন্ধের খবর জানেন না অনেকে ভক্তরা। স্বভাবতই বহু দূর-দূরান্ত থেকে মায়ের পুজো দিতে ভক্তরা ছুটে এসে নিরাশ হতে হয়। অথচ সেই কেন্দ্রেরই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে এদিন সকালে এসে পুজো দেন।
এনিয়ে তৃণমূল প্রার্থী পুজো দিয়ে বেরনোর সময় প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে আসা মায়ের ভক্তরা। পরে অবশ্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য।
দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি, অথচ শাসকদলের নেতা এসেই ভিতরে ঢুকলেন এবং পুজোও দিলেন। ভক্তদের প্রশ্ন নির্বাচনের সঙ্গে মন্দির বন্ধ রাখার কী সম্পর্ক? তারপরও মন্দির কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশিকা সোশাল মিডিয়ার মারফত জানানো উচিত ছিল।
অন্যদিকে, অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী জানান, যাঁরা অভিযোগ রাশিতেই জন্ম তাই তারা অভিযোগ করছে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম মানুষ যাতে সুখে থাকে, ভোট পর্ব যাতে শান্তিতে মেটে।" সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নৈহাটির প্রার্থী সনৎ দে, আজ সকালে নৈহাটি টাউনের 151 নম্বর বুথে ভোট দিয়েছেন এবং তাঁর জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন।
ভোট দেওয়ার আগে তিনি বড়মা'র মন্দিরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্দেশে ভোটদানে বাধা দিচ্ছে। বুধবার উপনির্বাচনে নৈহাটি কেন্দ্রে মূলত তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির লড়াই। নৈহাটি কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন পার্থ ভৌমিক। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি এবার সাংসদ নির্বাচিত হন। সেজন্য বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় পার্থকে। তাই এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে।