কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর: তৃণমূল বিধায়ককে খুনের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকার ৷ এছাড়া আরও একজনকেও বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে ৷ কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় ও রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বেকসুর খালাস করেছে বিধাননগরের এমপিএমএলএ আদালত ৷ এই রায়ে খুশি নন নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যরা ৷
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করার অভিযোগ ওঠে ৷ সেই ঘটনায় নাম জড়ায় মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকারের ৷ দু’জনেই তখন বিজেপি নেতা ৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে জগন্নাথ সরকার রানাঘাটের সাংসদ হন ৷ আর মুকুল রায় 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা আসনের বিধায়ক হন ৷ পরে অবশ্য তিনি তৃণমূলে যোগ দেন ৷
এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে নাম ছিল জগন্নাথ সরকার ও মুকুল রায়ের ৷ আরও একজন-সহ এই দু’জনকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বিধাননগরের এমপিএমএলএ আদালত ৷ মুকুল রায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ৷ ফলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷ তবে রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকার এই নিয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন ৷
তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী থেকে জনপ্রতিনিধি, মিথ্যা মামলা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হয় না ৷ দলীয় কারণে খুন ৷ একবছর পর মিথ্যে সাক্ষী দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছিল ৷ সাক্ষী তাঁর নামও ঠিকমতো জানেন না ৷ পুলিশই ওই সাক্ষীকে সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ৷ তিনি পালটা মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৷
এদিকে এই রায় ঘোষণার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের পরিবার । সত্যজিৎ বিশ্বাসের মা অঞ্জনা বিশ্বাস ও ভাই সুজিত বিশ্বাস রাজ্য সরকারের উপর দোষ চাপিয়েছেন । তাঁরা জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়ে ছিলেন দোষীদের স্বাস্তি হবে । তাহলে কোথায় শাস্তি হল? তারা বেকুসুর খালাস পেয়ে গেল ।
সুজিত বিশ্বাসের দাবি, তাঁকে সাক্ষী দিতে ডাকাই হয়নি ৷ তাই তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে ডাক্তার বিক্রি হয়ে যায়, সেই রাজ্যে সাক্ষী বিক্রি হয়নি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।