পুরুলিয়া, 22 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি ৷ পাশাপাশি আদিবাসী তরুণীর উপর পুলিশি বর্বরতা এবং নিপীড়ন নিয়ে দিন কয়েক ধরে উত্তপ্ত পুরুলিয়াও ৷ ঘটনায় কোটশিলা থানার ওসি তুফান দাঁ-কে ইতিমধ্যেই ক্লোজ করা হয়েছে ৷ এবার আদিবাসী তরুণীর উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদস্বরূপ জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনকে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
চিঠিতে পুরুলিয়ার সাংসদ দাবি করেছেন যে, গত 18 ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার এক আদিবাসী পরিবারের উপর পুলিশি অত্যাচার চালানো হয়। গোপনে মদ তৈরি করা হচ্ছে এমনই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময় পরিবারের 19 বছরের মেয়েকে কোটশিলা থানার পুরুষ অফিসার ইনচার্জ নির্মমভাবে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাড়িতে প্রবেশের সময় কোনও মহিলা পুলিশ সঙ্গে ছিল না বলেই তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন সাংসদ।
শুধু তাই নয় ৷ বাড়ির কর্তার উপার্জনের গচ্ছিত পুরো টাকা এবং একটি বাইক পুলিশ কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। চিঠিতে ঘটনার কথা উল্লেখ করে দ্রুত বিষয়টিতে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন জ্যোতির্ময় মাহাতো। এছাড়াও পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আর্জি জাতীয় এসটি কমিশনকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন সাংসদ।
মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণী কোটশিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ক্লোজ করা হয় পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার ওসি তুফান দাঁ-কে। সেইসঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিভিক কর্মী ও এক গ্রামীণ পুলিশকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার পর গত মঙ্গলবার ওই তরুণীর বাড়িতে পৌঁছন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি ওই মহিলার উপর অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ সাংসদ বলেন, "রবিবার বাহিনী নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার করে পুলিশ। ওই তরুণীকে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়। তার বাড়িতে থাকা চল্লিশ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় পুলিশ।"
আরও পড়ুন: