নদিয়া, 11 মার্চ: "সংসদে 2019 সালে আমি প্রথম বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি খুব খুশি আজ সিএএ লাগু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা নেই এটা আটকানোর।" সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ সম্পর্কিত নির্দেশিকার পরই এমনই বক্তব্য নদিয়ার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ।
কয়েক দশক ধরেই নাগরিকত্ব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তরজা চলছিল । আজ অবশেষে সিএএ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই আবির খেলায় মেতে ওঠেন সাংসদ-সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ৷ সেখানে অংশ নেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনও।
এদিন কেন্দ্র সরকারের জারি হওয়া সিএএ সপেক্ষে মিছিল করেন রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ৷ মিছল করে আবির খেলেন রানাঘাটের সাংসদ। এবারও ওই লোকসভা থেকে প্রার্থী হয়েছেন জগন্নাথ সরকার। এখান থেকেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, "এর আগে সিএএ আইন পাস নিয়ে যখন লোকসভায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে সময় বাংলার কিছু দেশদ্রোহী কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন স্টেশনেও ভাঙচুর করা হয়েছে ৷ ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ।"
সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে জানান, যারা বাংলাকে লুট করার জন্য পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সিএএ আইন আটকানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল । তাঁর কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা নেই ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে কেন্দ্রীয় অফিস ভাঙচুর করে এই আইন বন্ধ করে রাখার।"
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে দেশজুড়ে লাগু সিএএ, জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ 2019 সালের ডিসেম্বরের শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৷ সাড়ে চার বছর পর দেশজুড়ে লাগু হল নাগরিকত্ব আইন ৷ আগামিকাল থেকেই এই আইন গোটা দেশে বলবৎ হবে ৷
আরও পড়ুন: