কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: মাওবাদী নেতা কিশোর ওরফে সব্যসাচী গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ৷ 11 জানুয়ারি রাতে ঝাড়খণ্ড-পুরুলিয়া সীমান্তের বাঘমুণ্ডির জঙ্গল থেকে মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা কিশোরকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া পুলিশ ৷ এবার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিল লালবাজার ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় মাওবাদী নেতা কিশোরকে ৷ এখানে আদালতে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তরফ থেকে জানানো হয়, এই মাওবাদী নেতার সঙ্গে বহু স্লিপার সেল যুক্ত রয়েছে ৷ অতীতেও কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক স্লিপার সেলের এজেন্টরা ধরা পড়েছে ৷
কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রের খবর, সব্যসাচী গোস্বামীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাধিক স্লিপার সেলের সদস্য ৷ যদিও মতাদর্শগত বিভেদের কারণে এখন স্লিপার সেলের দু'টি ভাগ রয়েছে- আদি এবং নব্য ৷ বর্তমানে এই বিভেদ দূরীকরণের জন্য কলকাতায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছিল কিশোর ওরফে সব্যসাচী গোস্বামী ৷ এছাড়া উত্তরবঙ্গ এবং অসম শিলচর এলাকায় বিভিন্ন মাওবাদী গোপন ডেরা তৈরি করার কাজেও নিযুক্ত ছিল কিশোর ৷ তাই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা অসম পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে ৷ এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "এই মাওবাদী নেতাকে জেরা করে আমরা নতুন নতুন তথ্য পাব এবং তদন্তে সাফল্যও মিলতে পারে ৷"
এদিন আদালত থেকে বলা হয়, প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশ সব্যসাচী গোস্বামীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ৷ বর্তমানে মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোর কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ৷ এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু আদালতে আবেদনে জানান, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিযোগ রয়েছে ৷ বহুদিন ধরে সব্যসাচী গোস্বামীর সন্ধান করা হচ্ছিল ৷ অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক ৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনআইএ এই সব্যসাচীর মাথার দাম রেখেছিল দশ লক্ষ টাকা ৷ ইতিমধ্যে এই মামলায় মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে আরও দুই মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ ৷ তাদের কাছ থেকেও সব্যসাচী ওরফে কিশোরের নাম পাওয়া যায় ৷ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কলকাতায় অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তুলেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: