বারাসত, 9 এপ্রিল: টার্গেট ছিল অন্য কেউ ৷ ভুলবশত পথচলতি এক মহিলার পেটে ছুরি মেরে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ঝুমা সাহা নামে ওই মহিলাকে বারাসতের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনার জেরে সোমবার রাতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় বারাসত পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের রবীন সেন পল্লীতে।
জানা গিয়েছে, ছুরির আঘাতে মহিলার পেটের ঠিক উপরের অংশে ক্ষত তৈরি হওয়ায় ক্রমাগত রক্তপাত হতে থাকে। তা বন্ধ করতে প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারও হতে পারে ওই মহিলার। রাতের অন্ধকারে জনবহুল এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপাদাপিতে রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার আকস্মিকতায় কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। স্বভাবতই ঘটনার পর দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলা সদর বারাসতের নারী সুরক্ষা নিয়েও। যদিও, ঘটনার পর তড়িঘড়ি বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে ছুরিকাহত মহিলার পরিবারের সদস্যদের কথা বলে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারী দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।তদন্তের স্বার্থে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার বাড়ি বারাসতের হৃদয়পুরে।
সোমবার রাতে তিনি তাঁর দেওরের ছেলেকে টিউশন থেকে নিতে গিয়েছিলেন রবীন সেন পল্লী এলাকায়। পায়ে হেঁটেই পাড়ার ভিতরে রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। হঠাৎই পিছন থেকে বাইকে এসে দুই দুষ্কৃতী মহিলার পেটে ছুরি মেরে পালায় বলে অভিযোগ। দু'জনের মুখই কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। ফলে দুষ্কৃতীদের কাউকেই চিনতে পারেননি তিনি। রক্তাক্ত মহিলার আর্তনাদ শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এলে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
এরপর, গুরুতর আহত ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই রাস্তার ধারে একই সময়ে অন্য এক মহিলার যাওয়ার কথা ছিল। সম্ভবত তিনিই ছিলেন দুষ্কৃতীদের টার্গেটে। অথচ ঝুমাকেই সেই মহিলা ভেবে ভুলবশত ছুরিকাহত করে হামলাকারীরা। গুরুতর জখম হন তিনি। যদিও এই সত্যতা খতিয়ে দেখছে বারাসত থানার পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: