মালদা, 19 এপ্রিল: ক্লাস চলাকালীন স্কুলের মধ্যে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ৷ অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলেরই গ্রুপ-ডি'র এক কর্মীর বিরুদ্ধে ৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচকের একটি স্কুলে ৷ এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে মানিকচক থানায় ওই কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা ৷ থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই বেপাত্তা অভিযুক্ত ৷ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ ৷ বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে শুক্রবার নাবালিকাকে মালদা জেলা আদালতে পাঠানো হয় ৷
ওই নাবালিকা জানায়, বৃহস্পতিবার স্কুলে আয়রন ট্যাবলেট দেওয়ার কথা ছিল ৷ বিভিন্ন ক্লাসে সেই ট্যাবলেট দিতে সাহায্য করার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে যায় ওই কর্মী ৷ পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যাবলেট বিতরণের পর অন্য একটি ক্লাসে যাওয়ার নাম করে ওই অভিযুক্ত নাবালিকাকে একটি ফাঁকা ক্লাসরুমে নিয়ে যায় ৷ প্রথমে তাকে অশ্লীল প্রস্তাব দেয় ৷ সে চিৎকার শুরু করলে, তার মুখ চেপে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে থাকে স্কুলের ওই গ্রুপ ডি'র কর্মী ৷ এই ঘটনা কাউকে বললে বছর বারোর ওই নাবালিকাকে খুন করবে বলেও হুমকি দেয় ৷ ভয়ে স্কুলের কাউকে সে এই কথা বলেনি মেয়েটি ৷ পরে বাড়ি ফিরে সব ঘটনা তার বাবা-মাকে জানায় ৷
নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা জানান, স্কুলেরই এক কর্মী তাঁর মেয়ের সঙ্গে যে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা ভাবতেও পারছেন না তিনি ৷ ঘটনার পর মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ৷ স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে ৷ তাঁরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন ৷ ওই কর্মীর বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার ৷ অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবিও করা হয়েছে ৷
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, "এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা মৌখিক অভিযোগ করেছেন ৷ কোনও লিখিত অভিযোগ জমা দেননি ৷ লিখিত অভিযোগ পেলেই আমরা ওই অস্থায়ী গ্রুপ-ডি'র কর্মীর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাব ৷" মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা হবে ৷
আরও পড়ুন: