ETV Bharat / state

প্রেমিকের কথায় ভালোবাসা প্রমাণে আগুনে ঝাঁপ কিশোরীর - TEENAGE LOVE IN MALDA

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 8, 2024, 9:11 PM IST

Teenage Love: প্রেমের গভীরতা প্রমাণে অগ্নিপরীক্ষা দিল দশমের ছাত্রী ৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরী ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ৷ প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেওয়া হলে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিশোরী ৷

Teenage Love
ভালোবাসা প্রমাণে আগুনে ঝাঁপ কিশোরীর (ফাইল চিত্র)

মালদা, 8 জুন: প্রেমিকের বায়নায় নিজের ভালোবাসা প্রমাণে 'অগ্নিপরীক্ষা' দিল দশম শ্রেণির এক নাবালিকা পড়ুয়া ৷ যদিও পরিবারের লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলায় প্রাণে বেঁচেছে সে ৷ সেই অবস্থাতেই বিয়ের দাবিতে ধরনায় বসে নাবালক প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ৷ খবর পেয়ে অনেক বুঝিয়ে তাকে হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ ৷ কৈশোর প্রেমের এহেন উদাহরণে স্তব্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর ৷

বছরখানেক আগে একটি ভুল নম্বরের টেলিফোনের সূত্র ধরে নাবালকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল নাবালিকার ৷ নাবালকের কণ্ঠস্বর ভালো লেগে যায় তার ৷ সম্ভবত উলটোদিকের মানুষটির মনও একইভাবে নাড়া দিয়েছিল ৷ এরপর মাঝেমধ্যেই ফোনালাপ ৷ ততদিনে দু'জন জেনে গিয়েছে, তারা একই জেলা, এমনকী একই ব্লকের বাসিন্দা ৷ দু'জনেই জেনে যায়, তারা কিশোর-কিশোরী ৷ এভাবেই কথাবার্তার মধ্যে কখন যে তারা দু'জনকে ভালোবেসে ফেলেছে, বুঝতে পারেনি ৷ ধীরে ধীরে প্রেম গভীর হয় ৷ তবে এতদিনেও তারা একে অন্যকে চোখে দেখেনি ৷

কিশোর পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক ৷ দিল্লিতে একটি কারখানায় কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে সে ৷ সম্প্রতি ফোনে সে প্রেমিকাকে জানায়, ছুটি মিলেছে ৷ সে বাড়ি ফিরে আসছে ৷ এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিশোর ৷ ট্রেন থেকেই কিশোরীর কাছে তার বায়না, ভালোবাসার প্রমাণ দিতে প্রেমিকাকে গায়ে আগুন দিতে বলে প্রেমিক ৷ পাশাপাশি সে-ও চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রেমের গভীরতার প্রমাণ দেবে বলে জানায় কিশোর ৷ কিশোরের কথায় সন্ধে নাগাদ বাড়িতেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় নাবালিকা ৷ যদিও পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় সে ৷ যদিও কিশোরীর বুকে গভীর ক্ষত হয় ৷

শুক্রবার দুপুরে হাতে ব্লেড নিয়ে ওই কিশোরী সোজা চলে যায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ৷ প্রেমিক বাড়ি ফিরলেই তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন কিশোরী ৷ নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে নিজেদের নাবালক ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হননি কিশোরের বাড়ির লোকজন ৷ তাঁরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দেন ৷ খবর পেয়েই পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে কিশোরীকে বিষয়টি বোঝান ৷ অনেকটা সময় পর তাঁদের কথা মেনে নেয় কিশোরী ৷ পুলিশকর্মীরাই তাকে সরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন ৷ শনিবারও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, "আসলে এটা কৈশোর প্রেমের ফ্যান্টাসি ৷ মেয়েটিকে প্রাথমিকভাবে কাউন্সেলিং করা হয়েছে ৷ তাকে পুলিশের তরফেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ এখন অনেকটা সুস্থ রয়েছে সে ৷ ছেলেটিকেও আমরা কাউন্সেলিং করব বলে ঠিক করেছি ৷ তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷" কিশোরী জানিয়েছে, ফোনে তাদের পরিচয় বছরখানেকের ৷ প্রেমের সম্পর্ক কয়েক মাসের ৷ কিশোরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া না-হলে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দেয় সে ৷

মালদা, 8 জুন: প্রেমিকের বায়নায় নিজের ভালোবাসা প্রমাণে 'অগ্নিপরীক্ষা' দিল দশম শ্রেণির এক নাবালিকা পড়ুয়া ৷ যদিও পরিবারের লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলায় প্রাণে বেঁচেছে সে ৷ সেই অবস্থাতেই বিয়ের দাবিতে ধরনায় বসে নাবালক প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ৷ খবর পেয়ে অনেক বুঝিয়ে তাকে হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ ৷ কৈশোর প্রেমের এহেন উদাহরণে স্তব্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর ৷

বছরখানেক আগে একটি ভুল নম্বরের টেলিফোনের সূত্র ধরে নাবালকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল নাবালিকার ৷ নাবালকের কণ্ঠস্বর ভালো লেগে যায় তার ৷ সম্ভবত উলটোদিকের মানুষটির মনও একইভাবে নাড়া দিয়েছিল ৷ এরপর মাঝেমধ্যেই ফোনালাপ ৷ ততদিনে দু'জন জেনে গিয়েছে, তারা একই জেলা, এমনকী একই ব্লকের বাসিন্দা ৷ দু'জনেই জেনে যায়, তারা কিশোর-কিশোরী ৷ এভাবেই কথাবার্তার মধ্যে কখন যে তারা দু'জনকে ভালোবেসে ফেলেছে, বুঝতে পারেনি ৷ ধীরে ধীরে প্রেম গভীর হয় ৷ তবে এতদিনেও তারা একে অন্যকে চোখে দেখেনি ৷

কিশোর পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক ৷ দিল্লিতে একটি কারখানায় কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে সে ৷ সম্প্রতি ফোনে সে প্রেমিকাকে জানায়, ছুটি মিলেছে ৷ সে বাড়ি ফিরে আসছে ৷ এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিশোর ৷ ট্রেন থেকেই কিশোরীর কাছে তার বায়না, ভালোবাসার প্রমাণ দিতে প্রেমিকাকে গায়ে আগুন দিতে বলে প্রেমিক ৷ পাশাপাশি সে-ও চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রেমের গভীরতার প্রমাণ দেবে বলে জানায় কিশোর ৷ কিশোরের কথায় সন্ধে নাগাদ বাড়িতেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় নাবালিকা ৷ যদিও পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় সে ৷ যদিও কিশোরীর বুকে গভীর ক্ষত হয় ৷

শুক্রবার দুপুরে হাতে ব্লেড নিয়ে ওই কিশোরী সোজা চলে যায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ৷ প্রেমিক বাড়ি ফিরলেই তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন কিশোরী ৷ নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে নিজেদের নাবালক ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হননি কিশোরের বাড়ির লোকজন ৷ তাঁরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দেন ৷ খবর পেয়েই পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে কিশোরীকে বিষয়টি বোঝান ৷ অনেকটা সময় পর তাঁদের কথা মেনে নেয় কিশোরী ৷ পুলিশকর্মীরাই তাকে সরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন ৷ শনিবারও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে ৷

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, "আসলে এটা কৈশোর প্রেমের ফ্যান্টাসি ৷ মেয়েটিকে প্রাথমিকভাবে কাউন্সেলিং করা হয়েছে ৷ তাকে পুলিশের তরফেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ এখন অনেকটা সুস্থ রয়েছে সে ৷ ছেলেটিকেও আমরা কাউন্সেলিং করব বলে ঠিক করেছি ৷ তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷" কিশোরী জানিয়েছে, ফোনে তাদের পরিচয় বছরখানেকের ৷ প্রেমের সম্পর্ক কয়েক মাসের ৷ কিশোরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া না-হলে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দেয় সে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.