কলকাতা, 27 মে: বড় রাস্তা থেকে অলিগলি, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা ৷ রাস্তায়-রাস্তায় উপড়ে পড়েছে বহু গাছ ৷ ভেঙে পড়েছে পাঁচিল ৷ তীব্র যান যন্ত্রণার মুখে নিত্যযাত্রীরা ৷
রবিবার রাতেই রেমাল স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ৷ আর সেই সময় থেকে শুরু করে ঝড়ের তাণ্ডবের পরও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে শহরজুড়ে। তার সঙ্গে ছিল তীব্র হাওয়ার দাপট। আর এর জেরেই কোথাও মাটি আলগা হয়ে শিকড় থেকে উপড়ে পড়েছে বড় গাছ ৷ কোথাও গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে, আবার কোথাও ট্রামের তার ছিঁড়ে পড়েছে রাস্তার উপর। এমনই চিত্র উঠে এসেছে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম শহরজুড়ে।
আরও পড়ুন: ছেলেকে আনতে বেরনোই কাল হল! কলকাতায় রেমালের তাণ্ডব প্রাণ কাড়ল প্রৌঢ়ের
পার্ক স্ট্রিটে তীব্র বৃষ্টির জেরে মাটি আলগা হয়ে উপড়ে পড়েছে গাছ। থিয়েটার রোডেও গাছ উপড়ে পড়ার ছবি ধরা পড়েছে। রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকা ৷ হাঁটু জল ছুঁয়েছে মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, বড় বাজারের কিছু অংশ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ ৷ এরই পাশাপাশি জলমগ্ন হয়েছে বেহালার বিস্তীর্ণ এলাকাও ৷ শীল পাড়া, উত্তর কলকাতা, পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন বড় রাস্তায় যেমন কিছু অংশে জল জমেছে তার থেকেও বেশি অলিগলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে দিনের শুরুতেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অফিস যাত্রীদের৷
কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে রবিবারই জানানো হয়েছিল, জোয়ার থাকাকালীন বেশ কয়েক ঘণ্টা মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত লক গেটগুলি বন্ধ থাকবে। তাই রাত পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে এলাকা জলমগ্ন হলে সেই জল নামতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে লকগেট খোলার পরেও দীর্ঘ সময় পরও দেখা যাচ্ছে বহু এলাকায় জলমগ্ন অবস্থাতেই রয়েছে ৷ আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ফের নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ার ৷ তবে রাত থেকেই গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা অথবা গালিপিট, ক্যাচপিটের মুখ পরিষ্কার করে জল যাতে দ্রুত যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায় পৌর কর্মীদের ৷
আরও পড়ুন: রেমালের প্রভাবে বানভাসি কলকাতা, রাতভর বৃষ্টি; সোমেও বাংলা দুর্যোগপূর্ণ