কলকাতা, 13 অগস্ট: তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সিবিআই দু'টি চার্জশিট পেশ করেছে ৷ কিন্তু একটাতেও তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে দেখাতে পারেনি সিবিআই। জামিন মামলার শুনানিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জানালেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
সিবিআই স্পেশাল আদালতের এজলাসে বসে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন মানিক ভট্টাচার্য ৷ এজলাসে বসে কথা বলার জন্য সিবিআই স্পেশাল আদালতকে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। একইসঙ্গে, আদালত আরও জানিয়েছে, ইডি'র অফিসার হাজির থাকবেন ওই সময় কিন্তু তাঁকে নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে হবে ৷ আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার সময় সামনে ওই ইডির আধিকারিক থাকবেন না বলেও স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 23 অগস্ট।
এদিন মামলার শুনানিতে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "কলা মন্দিরের মিটিংয়ে বলা হয়েছিল ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের জন্য প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এইভাবে প্রত্যেক বিএড কলেজ থেকে প্রায় 50 হাজার টাকা করে তোলা হয়।" এরপরই বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জানতে চান, "এর সঙ্গে বর্তমান মামলার কী যোগ আছে ?" যার উত্তরে ইডি-র আইনজীবী জানান, "এইভাবে টাকা তুলে আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে ৷ মোট 2.64 কোটি তোলা হয়েছে। এটা অন্যান্য মামলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ৷ এর পিছনে প্রচুর অভিভাবকের চোখের জল রয়েছে।
পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে এরা ক্যানসার রূপে পরিণতি করেছে ৷"
একই সঙ্গে ইডি এও জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিনই চার্জ ফ্রেম করা হবে এই মামলার। মানিক ভট্টাচার্য এই ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির ছিলেন ৷ মানিক ভট্টাচার্য জানান, সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে না। 18 অক্টোবর 2022-এর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে ৷ তাঁর নাম এফআইআরে নেই। সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে তিনি অভিযুক্তও নন। দু'বছর ধরে তদন্ত করেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।