কলকাতা, 30 জুন: আম খায় না এমন বাঙালি খুব কম আছে ৷ মধ্যাহ্নভোজের পরে আয়েস করে বসে আম খাওয়া থেকে আম পোড়ার শরবত কিংবা আম দই- সর্বত্রই আমের জয়জয়কার । এছাড়াও আমের ডাল, আমের চাটনি, আমের আচার, আম কাসুন্দি, আমের ঝোল- বলে শেষ করা দায় । শহরের বুকে এই মরশুমে আম উৎসবও বেশ জনপ্রিয় ।
এবারও শহরের এক বহুল পরিচিত রেস্তোরাঁর উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে আরও একটি আমের উৎসব । যেখানে গেলে রসনাপ্রিয় বাঙালি পেয়ে যাবে আম দিয়ে তৈরি নানান পদ । নিরামিষ থেকে আমিষ এবং শেষপাতের মিষ্টি দক্ষ শেফদের দিয়ে তৈরি করানো হবে সেই সব পদ । বেশিদিন বাকি নেই আর । 1 জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে এই আমের উৎসব । চলবে 30 জুলাই পর্যন্ত ।
- দেখে নেওয়া যাক আমের কী কী পদ সেখানে গেলে পাওয়া যাবে ?
কাঁচা আমের শরবত এবং পাকা আমের সরবত তো থাকছেই । এ ছাড়াও আমিষ বিভাগে থাকছে আম তাওয়া চিংড়ি (চিংড়ি আমের কাসুন্দি দিয়ে মিশ্রিত), আম কাসুন্দি মুরগি ভাপা (আম দিয়ে স্টিমড কাসুন্দি চিকেন), আম দিয়ে মাংস (চিকেন এবং মাটন উভয়ই আম দিয়ে তৈরি), আম আচার সহযোগে ভেটকি ভাপা ।
নিরামিষ বিভাগে আছে আম দিয়ে ঢ্যাঁড়স (আম দিয়ে ভাজা ঢ্যাঁড়স মশলা), আম ইচোর কষা (আম মশলা দিয়ে তৈরি গ্রীষ্মের উপাদেয় কাঁঠাল), আম পোস্ত বড়া ।
মিষ্টির মজা নিতে হলে রয়েছে আমের পায়েস (আম ক্ষীর পুডিং), আম দই (ঘরে তৈরি দই আমের স্বাদ), আমের সন্দেশ (আম মিষ্টি)।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমের গায়ে লেগেছে কিউআর কোড ৷ স্ক্যান করলেই মিলবে আমটি কীভাবে চাষ হয়েছে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ৷ মালদার আম আরও বেশি করে দেশ-বিদেশে বাজারজাত করতেই এই নয়া উদ্যোগ বলে খবর । তবে এই বছর আমের ফলন বেশ কম । ফলে দামও চড়া । এই অবস্থায় আমের উৎসব । ফলে আমের উৎসবে যে পদগুলির টানে মানুষ ছুটবে সেই পদগুলির দাম কি মধ্যবিত্তের সীমা মেনে করা হয়েছে ? জবাবে রেস্তোরাঁর তরফে জানানো হয়, অন্যান্য রেগুলার মেনুর থেকে ফেস্টিভ্যালের পদের দাম কম রাখা হয়েছে । সবস্তরের মানুষের পকেটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত ।